West Bengal Weather Update

পূর্বাভাস আছে, বৃষ্টি নেই! এক মাসে বাংলায় বর্ষণে ঘাটতি ৪৪%, কালবৈশাখী কবে, জানাল আলিপুর

উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে আগামী সপ্তাহে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। তবে পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টি হচ্ছে না। গত এক মাসে বর্ষণে ঘাটতির পরিমাণ অনেকটা বেড়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ১০:০১
Rain deficiency in West Bengal districts amid forecast of thunderstorm

কলকাতায় এক মাসে বৃষ্টির ঘাটতি প্রায় ৮৭ শতাংশ! —ফাইল চিত্র।

গত এক মাসে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিতে অন্তত ৪৪ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে, জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে যেখানে যতটা বৃষ্টি হওয়ার কথা, তা হচ্ছে না। কোনও কোনও জেলায় বৃষ্টিতে ঘাটতি রয়েছে ১০০ শতাংশ বা তার কাছাকাছি। অর্থাৎ, সম্ভাবনা থাকলেও গত এক মাসে সে সব জেলায় বৃষ্টি একেবারেই হয়নি। এর মাঝেই অবশ্য আগামী সপ্তাহে কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সোমবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে হতে পারে বজ্রপাত। দমকা হাওয়ার বেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। একই পূর্বাভাস রয়েছে হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। বাকি জেলাগুলিতে ঝড়ের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। বেশ কয়েকটি জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে মঙ্গলবারেও।

উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে। সোমবার থেকে ভিজতে পারে কোচবিহার এবং মালদহও। এই জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের বেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। আপাতত উত্তর বা দক্ষিণবঙ্গে দিনের তাপমাত্রায় বড় কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

হাওয়া অফিসের পরিসংখ্যান বলছে, গত এক মাসে দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃষ্টির ঘাটতি ১০০ শতাংশ। মালদহেও ঘাটতির পরিমাণ প্রায় কাছাকাছি, ৯৮ শতাংশ। কলকাতায় এক মাসে প্রয়োজনের তুলনায় ৮৭ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় ৮০ শতাংশ, হুগলিতে ৯০ শতাংশ, হাওড়ায় ৬০ শতাংশ, নদিয়ায় ৭৫ শতাংশ, উত্তর দিনাজপুরে ৮৪ শতাংশ, জলপাইগুড়িতে ৭৬ শতাংশ, দার্জিলিঙে ৭৮ শতাংশ, কালিম্পঙে ৮৬ শতাংশ, আলিপুরদুয়ারে ৮৪ শতাংশ এবং কোচবিহারে ৯০ শতাংশ ঘাটতি ছিল বৃষ্টিতে।

প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়েছে কেবল তিনটি জেলায়— পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুর। চৈত্র মাস থেকেই বাংলার জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়ে গিয়েছে। গ্রীষ্মে উত্তাপ আরও বাড়তে পারে। ফলে বৃষ্টির ঘাটতি পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। সোমবার কোনও কোনও জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলে গরমে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে।

শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৬ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার সারা দিন মেঘলা আকাশ ছিল। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গিয়েছিল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Advertisement
আরও পড়ুন