এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
নতুন নিয়োগে কারা অংশ নেবেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তা স্পষ্ট উল্লেখ করা নেই বলে জানান এসএসসি চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নেবে কমিশন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক পদে ছিলেন ১২,৯০৫ জন। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদে ছিলেন ৫,৭১২ জন। এ ছাড়া, বাকিরা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-তে কর্মরত ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, চাকরিহারাদের মধ্যে যাঁরা এর আগে অন্য কোনও সরকারি দফতরে চাকরি করতেন, তাঁদের তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পূর্বের পদে ফিরিয়ে দিতে হবে। এসএসসির চেয়ারম্যান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘অন্য চাকরি থেকে কেউ এসে থাকলে, সেই তথ্য আমাদের কাছে আছে কি না, দেখতে হবে। যিনি চাকরিরত, এটা তাঁর পক্ষে জানা সম্ভব। তিনিই পুরনো চাকরিতে ফিরে যাওয়ার আবেদন করবেন। প্রয়োজনে সুপারনিউমেরারি (অতিরিক্ত) পদ তৈরি করা যেতে পারে।’’
কেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যে সম্ভব নয়, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এসএসসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ২৬ লক্ষ প্রার্থী। পরীক্ষায় বসেন প্রায় ২২ লক্ষ। এঁদের মধ্যে নবম-দশমের এক লক্ষ ৪১ হাজার এবং একাদশ-দ্বাদশের দেড় লক্ষ প্রার্থী রয়েছেন। তাই এত বড় নিয়োগ প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যে সম্ভব নয়।’’
তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা সম্ভব হবে না, জানিয়ে দিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘‘তিন মাসের কথা সুপ্রিম কোর্টের রায়ে উল্লেখ নেই। এটা একটা বড় প্রক্রিয়া। এটা তিন মাসের মধ্যে সম্ভব নয়।’’
এসএসসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে দ্রুত যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া আমরা শুরু করি, সেই বার্তা সরকার থেকে এসেছে।’’
এসএসসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘দু’এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তার জন্য আমরা প্রস্তুত। আইনজীবীর সঙ্গে, সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’’
নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁদের বয়সের ছাড় দেওয়া হবে, জানালেন এসএসসির চেয়ারম্যান। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই নিয়োগ হবে।
সরকার থেকে দ্রুত নিয়োগের চিঠি পেয়েছি। আমরা আলোচনা করছি। আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিক বৈঠকে বললেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত মজুমদার।