Bengal Recruitment Case

কেন অনুমতি দিতে টালবাহানা? নিয়োগ কাণ্ডে পার্থদের জামিনের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বিপাকে রাজ্য

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ এসএসসি এবং শিক্ষা দফতরের পাঁচ জন আধিকারিককে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পার্থ ছাড়াও গ্রেফতার হন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং অশোককুমার সাহা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৫ ১৪:১৩
State questioned in Supreme Court regarding bail plea of Partha Chatterjee in Recruitment Case

পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বিপাকে রাজ্য। নিয়োগ মামলায় পার্থের সহকারী অভিযুক্তদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার অনুমোদন মিলছে না বলে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এর পরেই শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, কেন রাজ্য অনুমোদন দিচ্ছে না? এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাজ্যকে সময়ও বেঁধে দিল আদালত।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের আইনজীবী এসভি রাজু বলেন, কলকাতা হাই কোর্ট একাধিক বার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে বলা সত্ত্বেও রাজ্য অনুমোদন দেয়নি। এর পরেই বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এনকে সিংহের বেঞ্চ জানায়, দ্রুত অভিযুক্তদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্যকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। সেইমতো বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নিম্ন আদালত। আগামী ১৭ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওই দিন পার্থ-সহ সমস্ত অভিযুক্তের জামিনের আবেদন শুনবে আদালত।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ-সহ এসএসসি এবং শিক্ষা দফতরের পাঁচ জন আধিকারিককে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ওই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিংহ এবং অশোককুমার সাহা। জামিন চেয়ে তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় হাই কোর্টের তৃতীয় বেঞ্চ। এর পর পার্থ-সহ ওই আধিকারিকেরা সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন জানান। পার্থ প্রাক্তন মন্ত্রী হওয়ায় তাঁর ক্ষেত্রে বিচারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্যপালের অনুমোদন প্রয়োজন। পার্থের ক্ষেত্রে সেই অনুমোদন মিললেও বাকিদের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়ার কথা রাজ্যের মুখ্যসচিবের। অথচ অভিযোগ, হাই কোর্ট একাধিক বার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও ওই আধিকারিকদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি মুখ্যসচিব। সেই মামলাতেই এ বার রাজ্যকে সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement
আরও পড়ুন