West Bengal School Recruitment Case

প্রাথমিকে আবেদন ৫০ হাজার ছাড়াতে পারে

প্রাথমিকে শূন্য পদের সংখ্যা ১৩৪২১টি। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, যত আবেদনপত্র জমা পড়ছে বলে তারা জানতে পারছেন তাতে শূন্য পদের সংখ্যা বাড়িয়ে ২০-২৫ হাজার করা হোক। কারণ ২০২২এ শেষ বার প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:৫৮

—প্রতীকী চিত্র।

প্রাথমিক নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে এ বারও ইন্টারভিউ পদ্ধতির পুরোটাই ভিডিয়ো করা হবে। রবিবার এমনটাই জানালেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি গৌতম পাল। গৌতম বলেন, ‘‘নিয়োগের স্বচ্ছতা আনতে ইন্টারভিউতে ভিডিযোগ্রাফি তো হচ্ছেই সেই সঙ্গে আরও নতুন কয়েকটি বিষয় আমরা সংযোজন করব। ২০২২এর মতো এ বারও আমাদের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গেই হবে।" ডিসেম্বরের শেষের দিকে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। পর্ষদ জানিয়েছে, আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ ৯ ডিসেম্বর। এখনও পর্যন্ত যা প্রবণতা তাতে পর্ষদের অনুমান, ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদনের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াবে।

প্রাথমিকে শূন্য পদের সংখ্যা ১৩৪২১টি। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, যত আবেদনপত্র জমা পড়ছে বলে তারা জানতে পারছেন তাতে শূন্য পদের সংখ্যা বাড়িয়ে ২০-২৫ হাজার করা হোক। কারণ ২০২২এ শেষ বার প্রাথমিকে নিয়োগ হয়েছিল। তিন বছর অপেক্ষার পরে প্রাথমিকে নিয়োগ শুরু হয়েছে। ২০২২এ যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে তাঁরা ছিলেন, ২০১৪ এবং ২০১৭এর টেট উত্তীর্ণ। এর পরে ২০২২ এবং ২০২৩এর টেট উত্তীর্ণ এবং ডিএলএড প্রশিক্ষিতরা এত দিন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি। এই প্রথম তাঁরা ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। এক চাকরিপ্রার্থী বিদেশ গাজী বলেন, "কত সংখ্যক আবেদনপত্র জমা হয়েছে তা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ না বললেও আমরা দেখছি, আবেদনকারীদের মধ্যে এক জনের ক্রমিক নম্বর ৫০ হাজারের কাছাকাছি। তার মানে তো আবেদনকারীর সংখ্যা এখনই ৫০ হাজার ছুঁই ছুঁই। ১৩৪২১টি শূন্য পদ যথেষ্ট নয়। আমরা আরও অন্তত ১০ হাজারটি শূন্য পদ বাড়ানোর অনুরোধ করছি।"

এসএসসির যে নবম দশম এবং একাদশ দ্বাদশের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে সেখানে কিন্তু ইন্টারভিউতে ভিডিয়োগ্রাফি হচ্ছে না। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম বলেন, 'আমাদের ইন্টারভিউ হবে কেন্দ্রীয় ভাবে। অর্থাৎ সবাইকে সল্টলেকের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে ইন্টারভিউ দিতে আসতে হবে। ২০২২এর নিয়োগেও কেন্দ্রীয় ভাবে ইন্টারভিউ হয়।"

পর্ষদের এক কর্তা জানিয়েছেন, আঞ্চলিক ভাবে ইন্টারভিউ নিলে পরিকাঠামোর অভাবে সবটার ভিডিয়ো তোলা যেত না। ইন্টারভিউয়ের ভিডিয়োগ্রাফি ছাড়াও ক্লাস ঘরে শিক্ষক পদপ্রার্থীরা কী ভাবে পড়াবেন, তার নমুনারও ভিডিয়োগ্রাফিহবে। ঠিক হয়েছে, যিনি ইন্টারভিউ নেবেন তিনি পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্তনম্বর কাগজে লিখবেন না। স্বচ্ছতার স্বার্থে তা সোজাসুজি অনলাইনে আপলোড করবেন। যাঁরা ইন্টারভিউ নেবেন তাঁদের সবার সঙ্গে ল্যাপটপ থাকবে। গৌতমের দাবি, ‘‘২০২২ সালের নিয়োগ পদ্ধতি এতটাই স্বচ্ছ ভাবে হয়েছিল, কোনও মামলাও হয়নি। এ বারও আশা করা যায়সেটাই হবে।"

আরও পড়ুন