Geeta Path in Brigade

ব্রিগেডে গীতাপাঠের আসরে বিশৃঙ্খলা! মঞ্চের কাছে যাওয়ার চেষ্টায় হুড়োহুড়ি, রাজ্যপাল ছাড়াও উপস্থিত বিজেপির শমীক, শুভেন্দু, সুকান্ত, দিলীপেরা

গীতাপাঠের জন্য তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মূল মঞ্চের দু’পারে অপেক্ষাকৃত ছোট দু’টি মঞ্চ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন সাধুসন্তরা। রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন মঞ্চে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০২
(বাঁ দিকে) শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদার এবং রুদ্রনীল ঘোষ (ডান দিকে উপরে), দিলীপ ঘোষ (ডান দিকে নীচে)। রবিবার ব্রিগেডে গীতাপাঠ কর্মসূচিতে।

(বাঁ দিকে) শমীক ভট্টাচার্য, সুকান্ত মজুমদার এবং রুদ্রনীল ঘোষ (ডান দিকে উপরে), দিলীপ ঘোষ (ডান দিকে নীচে)। রবিবার ব্রিগেডে গীতাপাঠ কর্মসূচিতে। —নিজস্ব চিত্র।

ব্রিগেডে গীতাপাঠের কর্মসূচি ঘিরে বিশৃঙ্খলা। মঞ্চের কাছে পৌঁছোনোর চেষ্টায় হুড়োহুড়ি। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। বার বার বলেও এগিয়ে আসা ভিড়কে পিছনে পাঠানো যাচ্ছে না। পরিস্থিতি এমনই হয়ে ওঠে যে, বাগেশ্বর বাবাকে মাঝপথে বক্তৃতা থামিয়ে দিতে হয়। তাঁর আগেই ভাষণ দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

Advertisement

এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দলের প্রাক্তন দুই সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষও। উপস্থিত হয়েছেন বিজেপির আরও দুই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় এবং রাহুল সিংহ। রয়েছেন বিজেপির আরও অনেক নেতা। দুপুর সওয়া ১২টা নাগাদ ব্রিগেডে পৌঁছেছেন রাজ্যপাল।

গীতাপাঠ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন বহু মানুষ।

গীতাপাঠ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন বহু মানুষ। —নিজস্ব চিত্র।

গীতাপাঠের জন্য তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মূল মঞ্চের দু’পারে অপেক্ষাকৃত ছোট দু’টি মঞ্চ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন সাধুসন্তরা। উপস্থিত রয়েছেন স্বামী জ্ঞানানন্দ, স্বামী ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ শাস্ত্রী এবং সাধ্বী ঋতম্ভরা। রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন মঞ্চে। কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন মতুয়াদের একাংশ।

মঞ্চে গীতাপাঠ করছেন সাধুসন্তরা। পিছনের এলইডি স্ক্রিনে গীতাপাঠ করতে দেখা যাচ্ছে বাগেশ্বর ধামের প্রধান ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ শাস্ত্রীকে।

মঞ্চে গীতাপাঠ করছেন সাধুসন্তরা। পিছনের এলইডি স্ক্রিনে গীতাপাঠ করতে দেখা যাচ্ছে বাগেশ্বর ধামের প্রধান ধীরেন্দ্রকৃষ্ণ শাস্ত্রীকে। —নিজস্ব চিত্র।

গীতাপাঠের আগে বেদপাঠ এবং কীর্তনের অনুষ্ঠান হয়েছে। ১২টা নাগাদ গীতাপাঠ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গীতার প্রথম, নবম এবং অষ্টাদশ অধ্যায় পাঠ করা হবে। ইতিমধ্যেই সভাস্থলে এসে পৌঁছেছেন বহু মানুষ। আয়োজক ‘সনাতন সংস্কৃতি সংসদ’-এর দাবি, পাঁচ লক্ষ মানুষ গীতাপাঠ করবেন। বছর দুয়েক আগে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরেও ব্রিগেডে গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়েছিল। সে বার ছিল এক লক্ষের লক্ষ্যমাত্রা।

রবিবার বেলায় একসঙ্গেই ব্রিগেডে ঢুকতে দেখা যায় সুকান্ত এবং দিলীপকে। বেশ কিছু ক্ষণ পরে পৌঁছোন শুভেন্দু। তবে সামনের সারিতে তাঁর জন্য নির্দিষ্ট আসনে না-বসে মাঠের পিছনের দিকে মাটিতে বসেছেন শুভেন্দু। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রথমে তাঁর জন্য নির্দিষ্ট আসনেই বসেছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু তিনি উপস্থিত হতেই ছবি তোলার হুড়োহুড়ি শুরু হয়। তার পরেই পিছন দিকে গিয়ে মাটিতে বসে পড়েন তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন