—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
এসআইআরের প্রথম পর্বের শেষলগ্নে আরও চাপ বাড়ছে বিএলও-দের উপর। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের যাচাইয়ে ধরা পড়া ত্রুটিগুলির তথ্য আসতে শুরু করেছে বিএলও-দের অ্যাপে। তা দেখে করতে হচ্ছে সংশোধন। ঘটনাচক্রে, গত ৪ ডিসেম্বরের (আগের সূচিতে সে দিন প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার কথা ছিল) পর থেকে অনেক স্কুল ‘অন-ডিউটি’র সুবিধা আর দিতে চাইছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা স্কুল পরিদর্শকের (ডিআই) থেকেও ইতিবাচক বার্তা না মেলায় সমস্যা বাড়ছে বিএলও-দের। প্রসঙ্গত, ১১ ডিসেম্বর শেষ হবে এনুমারেশন পর্বের কাজ। তার পরে ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশ পাবে খসড়া ভোটার তালিকা।
বিএলও-দের একাংশ জানাচ্ছেন, ‘ডুপ্লিকেট’ ভোটার, অর্থাৎ একই ছবিতে একাধিক ব্যক্তির তথ্য নথিবদ্ধ থাকলে, কমিশনের স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি তা জানিয়ে দিচ্ছে বিএলও-দের। সেই ফর্মগুলি ফিরিয়ে সংশোধন করতে হচ্ছে। তেমনই একজনের কথায়, “একজনের হয়তো ভিন্ন ঠিকানায় দু’টি কার্ড রয়েছে আলাদা আলাদা নম্বরে। কোনও কারণে সেই দু’টিই নথিবদ্ধ হয়ে থাকলে এখন আমাদের অ্যাপে সেগুলি চিহ্নিত হয়ে যাচ্ছে। সমস্যা হল, সময় যত শেষের দিকে এগোচ্ছে, তত বাড়ছে চাপ।” সোমবার কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ৫৬.৩৭ লক্ষ ফর্ম অসংগৃহীত। তার মধ্যে মৃত প্রায় ২৩.৯৮ লক্ষ, অনুপস্থিত প্রায় ১০.৯৪ লক্ষ, প্রায় ১৯.৬৪ লক্ষ ঠিকানাবদল, প্রায় ১.৩২ লক্ষ ডুপ্লিকেট ও প্রায় ৪৮ হাজার অন্যান্য গোত্রভুক্ত ভোটার।
ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের (ইআরও) মাধ্যমে তাঁদের বলা হয়েছে, আশি বছরের ঊর্ধ্বে নথিবদ্ধ ভোটারের ছবি তুলতে হবে বিএলও-দের নিজস্ব ফোনেই। কোথাও আবার কিছু সময়ের ভিডিয়ো তুলতেও বলা হচ্ছে স্থানীয় ভাবে। পিতা-পুত্রের বয়সের ব্যবধান ৪৫ বছরের বেশি বা ১৮ বছরের কম হলে, সেগুলিকে পৃথক ভাবে মেলাতে বলা হচ্ছে। এখনকার কোনও ভোটারের বয়স ৫০ বছর হলে গত ২০০২ সালের এসআইআরে তাঁর নাম থাকার কথা। তেমন কারও নাম না থাকলে, সেগুলিকেও দেখতে হচ্ছে পৃথক ভাবে। ভোটারের বদলে আত্মীয় ফর্ম ভরে জমা করলে দেখতে হচ্ছে সেই ভোটার আসলে রয়েছেন কি না।
কিন্তু ৪ ডিসেম্বরের পরে অনেক স্কুল বিএলও-র দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ধরিয়ে দিচ্ছে স্কুলের কাজও। এই অবস্থায় সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। যদিও স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রের বক্তব্য, “বিএলওদের কাজের সময়সীমা বাড়লে অন-ডিউটির লিখিত নির্দেশ কমিশনকেই পাঠাতে হবে শিক্ষা দফতরে।” যদিও কমিশন সূত্রের পাল্টা বক্তব্য, যে আদেশনামার ভিত্তিতে এই কাজ চালু হয়েছিল, সময়বৃদ্ধিও তেমনই আদেশনামার বলে। ফলে একই কাজে ভিন্ন নীতি থাকতে পারে না।
অন্য দিকে, এনুমারেশনের এই পর্বে বৃদ্ধাশ্রম ও বিশেষ ভাবে সক্ষমদেরকোনও কেন্দ্র থাকলে, সেখানে ফর্ম পূরণের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট জেলাশাসকদের থেকে চেয়েছে কমিশন। বিশেষ শিবির হওয়ার কথা রয়েছে সোনাগাছির যৌনপল্লিতেও।