Jama'at Nusrat al-Islam wal-Muslimin

কাবুল, দামাস্কাসের পরে কি বামাকো? আল কায়দার ঘনিষ্ঠ সংগঠনের হানায় পতনের মুখে আর এক দেশের রাজধানী

প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধে চমকপ্রদ দক্ষতা দেখালেও রুশ ভাড়াটে বাহিনী ‘ওয়াগনার গ্রুপ’ সেখানে জেএনআইএম (জামাত-অট নুসরত আল-ইসলাম অল-মুসলিমিন)-এর বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে নাস্তানাবুদ হচ্ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৪৮
African nation Mali may about to fall to an al-Qaeda-affiliated armed group

মালিতে সক্রিয় সেনা। ছবি: রয়টার্স।

আফগানিস্তানের তালিবান, সিরিয়ার হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর পরে এ বার আল কায়দা ঘনিষ্ঠ আর এক সংগঠন কোনও দেশে সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে ক্ষমতা দখলের বার্তা দিচ্ছে। মধ্য-পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সশস্ত্র গোষ্ঠী জেএনআইএম (জামাত-অট নুসরত আল-ইসলাম অল-মুসলিমিন)-এর ধারাবাহিক হামলায় ক্রমশ পিছু হটছে সরকারি সেনা।

Advertisement

জেএনআইএম-এর অগ্রগতি দেখে সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, রাজধানী বামাকোর পতন এখন সময়ের অপেক্ষা। প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধে চমকপ্রদ দক্ষতা দেখালেও রাশিয়ার মিত্র মালি সরকারের ভাড়া করা রুশ বাহিনী ‘ওয়াগনার গ্রুপ’ সেখানে জেএনআইএম-এর বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে নাস্তানাবুদ হচ্ছে। বস্তুত, শুধু মালি নয় বুরকিনা ফাসো, নাইজার, বেনিন, টোগোর সীমান্ত পর্যন্ত গোটা ‘সাহেল অঞ্চল’ জুড়ে আধিপত্য বিস্তার করেছে আল কায়দার ‘অনুমোদিত’ এই সশস্ত্র গোষ্ঠী। শুধু মালির সরকারি সেনা আর ওয়াগনার বাহিনী নয়, মালির একাংশে সক্রিয় আইএস (ইসলামিক স্টেট) সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধেও লড়ছে জেএনআইএম। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই লড়াইয়ে তাদের সহযোগী ঘোষিত ভাবে ‘গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী’ তুয়ারেগ বিদ্রোহী বাহিনী (সিএসপি-ডিপিএ)!

সাঁড়াশি আক্রমণ চালিয়ে জেনএনআইএম বাহিনী এই মুহূর্তে রাজধানী বামাকোকে কার্যত অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। রাজধানীর সঙ্গে সংযোগকারী প্রধান সড়কগুলোতে নিয়মিত হামলা চালিয়ে তারা খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ অনেকটাই বিচ্ছিন্ন করেছে। বেশ কয়েকটি সেনা ও বিমানঘাঁটিও এখন সালে সুরক্ষিত বিমানবন্দরে ও সামরিক স্থাপনায় তাদের সাহসী হামলাগুলো প্রমাণ করেছে যে, তারা রাজধানীর দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। যদিও ২০০১-এ তালিবান বা গত বছর এইচএসটির মতো ‘মসৃণ ভাবে জেএনআইএম-এর পক্ষে মালির ক্ষমতা দখল সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন অনেকেই। বিশেষত সম্প্রতি প্রতিবেশী শক্তিশালী দেশ আলজেরিয়া তাদের সীমান্তবর্তী রাষ্ট্রে কোনও জিহাদি গোষ্ঠীকে ক্ষমতা দখল করতে না করতে না দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়ার পর লড়াই দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন