বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি-র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। তিনি সঙ্কটময় মুহূর্ত পার করছেন বলে জানিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। রাতে মাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিএনপি-র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মধ্যরাতে তিনি হাসপাতাল ছেড়েছেন। পরে মেডিক্যাল বোর্ডের এক সদস্য খালেদার শারীরিক অবস্থার কথা সাংবাদিকদের জানান।
খালেদার চিকিৎসার জন্য দেশি ও বিদেশি চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই বোর্ডের অন্যতম সদস্য এ জ়েড এম জ়াহিদ হোসেন। তিনি বিএনপি-র স্থায়ী কমিটিরও সদস্য। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ (স্থানীয় সময়) ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জ়া়হিদ। খালেদার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘ওঁর (খালেদার) অবস্থার উন্নতি হয়েছে, এ কথা বলা যাবে না। অবস্থা অত্যন্ত জটিল এবং উনি একটা সঙ্কটময় মুহূর্ত পার করছেন।’’ ভর্তি হওয়ার পর খালেদার শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি হয়েছিল বলে জানান জ়াহিদ। সেই কারণেই তাঁকে সাধারণ কেবিন থেকে প্রথমে সিসিইউ এবং পরে আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়।
খালেদাপুত্র তারেক ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবারই তিনি মাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। শনিবার রাতে আবার যান। প্রায় দু’ঘণ্টা হাসপাতালে থাকার পর রাত ১২টা নাগাদ (স্থানীয় সময়) তিনি ফিরে যান।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা। প্রথমে শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু পরে একাধিক রোগ ধরা পড়ে। আগে থেকেই খালেদার ডায়াবেটিস এবং কিডনিতে সমস্যা ছিল। নিউমোনিয়া ধরা পড়েছিল। এ ছা়ড়া রয়েছে হৃদ্যন্ত্রে জটিলতা এবং ফুসফুসে সমস্যা। বার্ধক্যজনিত কারণে এবং একাধিক সমস্যা থাকায় চিকিৎসাতেও সমস্যা হচ্ছে। খালেদার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন তাঁর পুত্রবধূ জ়ুবাইদা রহমানও। তাঁরাই বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু খালেদার শারীরিক অবস্থার কারণে তা সম্ভব হয়নি।