US-Pakistan Relation

গাজ়ায় শান্তিপ্রতিষ্ঠার জন্য সেনা পাঠাবে পাকিস্তান? ট্রাম্পের অনুরোধে শ্যাম রাখি না কূল রাখি অবস্থা সেনাধ্যক্ষ মুনিরের

সংবাদসংস্থা রয়টার্স দু’টি সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, শান্তিসেনা পাঠানোর বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান বা সেনা সর্বাধিনায়ক (চিফ অফ ডিফেন্স ফোর্সেস) আসিম মুনির।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:২৪
(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আসিম মুনির (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আসিম মুনির (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

গাজ়ায় শান্তিপ্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তানকেও সেনা পাঠানোর অনুরোধ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদসংস্থা রয়টার্স দু’টি সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান বা সেনা সর্বাধিনায়ক (চিফ অফ ডিফেন্স ফোর্সেস) আসিম মুনির।

Advertisement

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের সেনা পাঠানোর অনুরোধে ফাঁপড়ে পড়েছেন মুনির। কারণ ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজ়ার পুনর্গঠনের জন্য শান্তিসেনা পাঠাবেন তিনি। সেই শান্তিসেনায় পাক সেনাকেও শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের অনুরোধ মানলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সমালোচিত হতে পারেন মুনির। কারণ সে ক্ষেত্রে মুসলিমপ্রধান দেশ হিসাবে প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে পাক সেনা। আর তা হলে পাকিস্তানের ইজ়রায়েল-বিরোধী এবং প্যালেস্টাইনপন্থী জনতা ক্ষুব্ধ হতে পারে।

অন্য দিকে, কোনও পরিস্থিতিতেই ট্রাম্পকে চটাতে চাইবেন না মুনির। পাকিস্তান সম্পর্কে আমেরিকার সমস্ত ‘ভুল ধারণা’ ভেঙে দিতে বদ্ধপরিকর মুনির। সেই কারণে ভারত-পাক সংঘাত থামানোর জন্য ট্রাম্পের ভূমিকার কথা তুলে ধরা, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম প্রস্তাব করা— কোনও চেষ্টাই বাকি রাখেনি পাকিস্তান। ঘটনাচক্রে, গত ছ’মাসে দু’বার ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে মুনিরের। জুন মাসে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন মুনির। সেই প্রথম বেসামরিক রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়া কোনও পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন এবং বৈঠক করেন কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

গাজ়ায় শান্তিপ্রতিষ্ঠার জন্য ইতিমধ্যেই ২০ দফা শান্তিপ্রস্তাব দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইজ়রায়েলের সঙ্গে সংঘাতে এই প্যালেস্টাইনি ভূখণ্ড কার্যত খণ্ডহরে পরিণত হয়েছে। শান্তিপ্রস্তাবে তাই গাজ়ার পুনর্গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক ক্ষমতা হস্তান্তরের কথাও বলা হয়েছে। মুসলিমপ্রধান দেশগুলির আশঙ্কা, এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের শান্তিসেনার সঙ্গে গাজ়ার শাসক হামাসের সংঘাত অবধারিত। আর সেই সংঘাতে মুসলিমপ্রধান দেশগুলি থাকলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলিতে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন পাকিস্তানও। গত মাসেই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার জানিয়েছিলেন, গাজ়ার শান্তিসেনায় যোগ দেওয়ার বিষয়টি ইসলামাবাদ বিবেচনা করে দেখছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, হামাসকে নিরস্ত্র করা পাকিস্তানের কাজ নয়।

যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, অনুরোধ না-রাখলে পাকিস্তানের উপর চটে যেতে পারেন ট্রাম্প। কোনও কড়া পদক্ষেপও করে বসতে পারেন তিনি। তা এড়াতে মুনির কোন পথে হাঁটেন, তা নিয়েই তৈরি হয়‌েছে কৌতূহল।

Advertisement
আরও পড়ুন