US Tariff War

কানাডা, মেক্সিকোর উপরে এখনই শুল্কের খাঁড়া নয়, নিজেদের স্বার্থেই কি পিছু হটলেন ট্রাম্প?

হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছে যুক্তরাষ্ট্রের মোটরগাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। সংস্থাগুলি আগেই কানাডা, মেক্সিকোর পণ্যে চড়া হারে শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৫ ১০:৫৬
ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র

কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে আমদানি করা বেশ কিছু পণ্যের উপর এখনই চড়া হারে শুল্ক চাপাচ্ছে না আমেরিকা। আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকছে বলে জানা গিয়েছে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছে যুক্তরাষ্ট্রের মোটরগাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। এই সংস্থাগুলি আগেই কানাডা এবং মেক্সিকোর পণ্যে চড়া হারে শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়েছিল। কারণ, গাড়ি তৈরির বহু যন্ত্রাংশ আসে কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে।

Advertisement

শুল্ক চাপানো নিয়ে ট্রাম্পের পিছু হটার নেপথ্য কারণ হিসাবে কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারের দোদুল্যমানতাকে দায়ী করেছেন। আবার মার্কিন অর্থনীতিকদের অনেকেই আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন যে, ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্কনীতি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির আর্থিক ক্ষতি করবে। তবে হোয়াইট হাউস সরকারি ভাবে এমন কোনও কারণের কথা বলছে না। বরং হোয়াইট হাউসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কানাডা থেকে আমদানিকৃত প্রায় ৬২টি পণ্যে এখনও শুল্ক থাকছে। তবে জ্বালানি পণ্যে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশেরও কম।

ট্রাম্প শুল্কনীতি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই কানাডা জানিয়েছে, তারাও আপাতত আমেরিকার পণ্যে শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখছে। তবে প্রথম দফায় যে মার্কিন পণ্যগুলির উপর শুল্ক বসানো হয়েছিল, সেগুলি বলবত থাকছে বলে সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত, কানাডা থেকে আসা পণ্যের উপর আমেরিকায় ২৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করার কথা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) মধ্যরাত থেকেই নতুন হারে শুল্ক কার্যকর করা হবে বলে জানায় ট্রাম্প প্রশাসন। জ্বালানি পণ্যের উপর ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করে তারা। বাকি পণ্যের ক্ষেত্রে সেই শুল্কের পরিমাণই ২৫ শতাংশ।

ট্রাম্পের ঘোষণার পরই পাল্টা শুল্ক চাপানোর কথা জানান ট্রুডো। আমেরিকা থেকে আসা প্রসাধনী, যন্ত্রপাতি, ফল, ওয়াইন-সহ ৩০ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা)-এর মার্কিন পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী। শুধু তা-ই নয়, ২১ দিন পর আরও বেশি মূল্যের মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের কথাও বলে রাখেন তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন