Iran on India Pakistan Conflict

ভারত সফরের আগে ইরানের বিদেশমন্ত্রী পাকিস্তানে, ইসলামাবাদ থেকে দু’দেশকেই বার্তা

এর আগে পহেলগাঁও প্রসঙ্গে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যস্থতা করার বার্তা দিয়েছিল তেহরান। সোমবার ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ইসলামাবাদে পৌঁছেছেন। বার্তা দিয়েছেন দুই দেশকেই।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৫ ১০:৩৪
Iran seeks de-escalation between India and Pakistan dgtl

(বাঁ দিক থেকে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ এবং ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। —ফাইল চিত্র।

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে পহেলগাঁওয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার প্রশমন চাইলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। সোমবার পাকিস্তান সফরে গিয়েছেন তিনি। ইসলামাবাদে নেমেই ভারত-পাক উত্তেজনা প্রশমনের বার্তা দেন। পরে চলতি সপ্তাহেই ভারত সফরে আসার কথা তাঁর। অনেক দিন আগেই ইরানের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরের সূচি স্থির ছিল। পহেলগাঁও হামলার কারণে তা কিছুটা পিছিয়ে যায়।

Advertisement

এর আগে পহেলগাঁও প্রসঙ্গে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যস্থতা করার বার্তা দিয়েছিল ইরান। আব্বাসই সেই সময় জানিয়েছিলেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদে ইরানের অফিস ব্যবহার করতে দিতে প্রস্তুত তেহরান। সোমবার পাকিস্তানে পৌঁছে দুই দেশকেই শান্তির বার্তা দিলেন তিনি।

ভারত এবং পাকিস্তান, দুই দেশের সঙ্গেই ইরানের সম্পর্ক নিবিড়, জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী আব্বাস। বিমানবন্দর থেকে তিনি বলেন, ‘‘আমরা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার প্রশমন চাই। পাকিস্তানে আমার বন্ধুদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব। এখানকার প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। আঞ্চলিক সমস্যা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হবে।’’

পাকিস্তান থেকে বৈঠক সেরে আবার ইরানে ফিরে যাবেন আব্বাস। সেখান থেকে নয়াদিল্লিতে আসবেন। আগামী ৭ এবং ৮ মে তাঁর ভারত সফরের দিন স্থির হয়েছে। অনেক সপ্তাহ আগেই এই সূচি ঠিক হয়েছিল। পহেলগাঁওয়ের ঘটনার আগে ইরানের বিদেশমন্ত্রীর ভারতে আসার কথা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি অনুকূল না-থাকায় সফর পিছিয়ে যায়।

পহেলগাঁওয়ে গত ২২ এপ্রিল জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে দুই দেশের বাণিজ্য, আকাশসীমা। দিন দিন দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষকেই কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের বার্তা দিয়েছে আমেরিকা, চিন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া। এ বার ইরানও একই পথে হাঁটল।

Advertisement
আরও পড়ুন