Russia-Ukraine War

সৌদিতে বৈঠকের মুখে জোরদার রুশ হামলা! কুর্স্কের সঙ্গে সুমেতেও শুরু ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’

জ়েলেনস্কি সরকারের দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় পুতিনবাহিনীর ১৩০টিরও বেশি ড্রোন ধ্বংস করেছে তারা। ‘ভূমি থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে ফরাসি যুদ্ধবিমান মিরাজ-২০০০।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৫ ১৭:৫৭
(বাঁ দিক থেকে) ভলোদিমির জ়েলেনস্কি, ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প।

(বাঁ দিক থেকে) ভলোদিমির জ়েলেনস্কি, ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

মঙ্গলবার থেকে সৌদি আরবের জেড্ডায় আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি এবং খনিজচুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছেন ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। ঘটনাচক্রে, তার আগেই কুর্স্ক-সহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় আক্রমণের অভিঘাত বাড়াল রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী।

Advertisement

রবিবার রাত থেকে কুর্স্কে রুশ স্থলসেনা হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন ফৌজের বেশ কিছু ঘাঁটিতে। ইউক্রেন সেনার নিয়ন্ত্রিত সুমে এলাকাতেও শুরু হয়েছে গ্রাউন্ড অপারেশন। পাশাপাশি, রবিবার রাত থেকে চলছে ধারাবাহিক ড্রোন হামলা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি সরকারের দাবি, এ পর্যন্ত ১৩০টিরও বেশি রুশ ড্রোন ধ্বংস করেছে তারা। ‘ভূমি থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে ফরাসি যুদ্ধবিমান মিরাজ-২০০০।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে প্রকাশ্য বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কির। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে দুই রাষ্ট্রনেতার বিতণ্ডা চরমে পৌঁছোয়। আলোচনা ভেস্তে যায় এবং হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। পরে অবশ্য জ়েলেনস্কি জানান, ওই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য তিনি ‘অনুতপ্ত’। রাশিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজিও হন তিনি। কিন্তু ট্রাম্প ইতিমধ্যেই ইউক্রেনকে অস্ত্র এবং গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ বন্ধের কথা ঘোষণা করেছেন।

ঘটনাচক্রে, ট্রাম্প রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা বন্ধ রাখার কথা ঘোষণার পরেই সক্রিয় হয়েছে ইউরোপ। শুক্রবার বেলজ়িয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর বৈঠকে ২৭টি সদস্যরাষ্ট্র ঐক্যবদ্ধ ভাবে ঋণনীতি শিথিল করে প্রতিরক্ষা খাতে আরও অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইইউ বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইউরোপের নিরাপত্তা জোরদার করতে ইইউ-এর সদস্যেরা মিলে ১৫ হাজার কোটি ইউরো (প্রায় ১৪ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা) ঋণ নেবে। এর বড় অংশ ব্যয় হবে ইউক্রেনের সামরিক সাহায্যে। যদিও ওয়াশিংটনের সহায়তা ছাড়া যুদ্ধে ইউক্রেন এঁটে উঠতে পারবে না বলেই মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার জ়েলেনস্কি বলেন, ‘‘সৌদিতে আয়োজিত বৈঠকের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ।’’

Advertisement
আরও পড়ুন