US-Russia Relations

ক্রেমলিনে গেলেন ট্রাম্পের দূত, যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠক পুতিনের সঙ্গে! রাশিয়া বলল ‘ইতিবাচক’

বুধবার ক্রেমলিনে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের দূত স্টিভ উফটকফের বৈঠকের পরে রুশ সংবাদ সংস্থা ‘তাস’ জানিয়েছে, আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৫ ২০:৪৯
Russian President Vladimir Putin and US Special Presidential Envoy Steve Witkoff have concluded meeting at the Kremlin

(বাঁদিকে) ভ্লাদিমির পুতিন এবং স্টিভ উফটকফ (ডানদিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে আমেরিকা-রাশিয়া টানাপড়েনের মধ্যেই মস্কোয় গিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। বুধবার ক্রেমলিনে ওই বৈঠকের পরে রুশ সংবাদ সংস্থা ‘তাস’ জানিয়েছে, আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। তিন ঘণ্টার ওই বৈঠকে পুতিনের সহকারী ইউরি উশাকোভও হাজির ছিলেন বলে ক্রেমলিনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

Advertisement

গত ৩১ জুলাই ভারত এবং রাশিয়ার অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী বোঝাপড়া করছে, তা নিয়ে আমি ভাবিত নই। একসঙ্গে তারা তাদের মৃত অর্থনীতিকে ডোবাতে পারে।” ট্রাম্পের ওই মন্তব্যের পরেই প্রাক্তন রুশ প্রেসিডেন্ট তথা সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ আমেরিকাকে নিশানা করে বলছিলেন, ‘‘যাদের মৃত বলা হচ্ছে, তাদের ‘ডেড হ্যান্ড’ থেকে আসন্ন বিপদকে উপেক্ষা করা সহজ হবে না।” এর পরেই ট্রাম্প শুক্রবার রাশিয়ার জলসীমার কাছে পরমাণু অস্ত্রবাহী দু’টি ডুবোজাহাজ পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন। কারণ হিসাবে জানান, মেদভেদেভের মন্তব্য প্ররোচনামূলক। তাই এমন পদক্ষেপ।

প্রসঙ্গত, ‘ডেড হ্যান্ড’ এমন একটি স্বয়ংক্রিয় পরমাণু প্রত্যাঘাতের পদ্ধতি, যা আশির দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের জমানায় গড়ে তোলা হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল, যদি আমেরিকা বা অন্য কোনও পরমাণু শক্তিধর প্রতিপক্ষ প্রথম আঘাতে সোভিয়েত নেতৃত্ব এবং কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল ধ্বংস করে দেয়, তবুও স্বয়ংক্রিয় ভাবেই ‘চূড়ান্ত প্রতিশোধমূলক প্রত্যাঘাত’ করতে পারবে মস্কোর পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র। মস্কো-ওয়াশিংটন সংঘাতের এই আবহে ট্রাম্পের বিশেষ দূতের মস্কো সফর এবং পুতিনের সঙ্গে বৈঠক উত্তেজনা প্রশমনের অনুঘটক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন