জ়োহরান মামদানি। — ফাইল চিত্র।
নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন সপ্তাহ কয়েক আগে। এ বার নিজের সেই ‘স্বরূপেই’ ধরা দিলেন জ়োহরান মামদানি। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে আমেরিকার অভিবাসন দফতরের হানার পরে জানিয়ে দিলেন, উদ্বাস্তুদের পাশেই রয়েছেন তিনি। তাঁদের সব ধরনের সাহায্য তিনি করবেন। পাশাপাশি, ভিডিয়োবার্তা দিয়ে উদ্বাস্তুদের নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতেও বললেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিচালক মীরা নায়ারের পুত্র।
১ জানুয়ারি নিউ ইয়র্কের মেয়র পদে শপথ নেবেন মামদানি। তবে তার আগেই নিজের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন মামদানি। অতীতে অভিবাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কটাক্ষ করেছিলেন ডেমোক্র্যাট নেতা মামদানি। আবার সেই পথেই হাঁটলেন। রবিবার একটি ভিডিয়োবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যদি আপনারা নিজেদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন হন, তা হলে আমরা আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট)-এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারব।’’
মামদানি জানান, আমেরিকার অভিবাসন দফতরের এজেন্টরা কোনও প্রশ্ন করলে তার জবাব না-ও দিতে পারেন অভিবাসীরা। ব্যক্তিগত জায়গায় তাঁদের প্রবেশ করতে বাধা দিতে পারেন। এই অধিকার তাঁদের রয়েছে। মামদানি জানান, বিচারকের সই করা পরোয়ানা ছাড়া অভিবাসন দফতরের এজেন্টরা কোনও স্কুল, অফিস বা কারও বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেন না। তাঁর কথায়, ‘‘মিথ্য বলার আইনি অধিকার রয়েছে আইসিই-র। আপনাদের চুপ থাকারও অধিকার রয়েছে। আপনাদের আটক করলে, জিজ্ঞাসা করবেন, এ বার কি যেতে পারি!’’
গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কের চায়নাটাউনে কয়েক জনকে আটক করার জন্য গিয়েছিলেন আইসিই আধিকারিকেরা। তখন তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিবাসীদের একাংশ। গত অক্টোবরেও ওই এলাকায় একই কারণে বিক্ষোভ দেখান অভিবাসীদের একাংশ। এর পরেই সরব হন মামদানি।