মঞ্চে চলছে পারফরম্যান্স।
পাঁচ দিনের বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসব চলছে ঢাকায়। বুধবার ছিল দ্বিতীয় রাত। সন্ধে থেকেই ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে দর্শক-শ্রোতাদের ভিড়। ভোর ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান। শীতের তোয়াক্কা না করে রাত যত বেড়েছে, ততই বেড়েছে দর্শকের সংখ্যা। অধিকাংশই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন সারা রাত থাকার। কারণ, এত বেশি তারকার মেলা- যার একটুও বাদ দিতে রাজি নন অনেকেই।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই কত্থক পরিবেশন করেন অদিতি মঙ্গলদাস ডান্স কোম্পানি এবং দৃষ্টিকোণ ডান্স ফাউন্ডেশন। মঞ্চে ছিলেন অদিতি মঙ্গলদাস, গৌরী দিবাকর, মিনহাজ, আম্রপালি ভাণ্ডারী, অঞ্জনা কুমারী, মনোজ কুমার, সানি শিশোদিয়া। এ ছাড়া, কণ্ঠ ও হারমোনিয়াম পরিবেশনে ছিলেন ফারাজ খান, তবলা ও পাঢ়ান্তে মোহিত গাঙ্গানি, পাখোয়াজ ও পাঢ়ান্তে আশিস গাঙ্গানি, বাঁশিতে রোহিত প্রসন্ন।
আয়োজন শেষে শিল্পীদের হাতে উৎসব স্মারক তুলে দেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।তার পর একে একে মঞ্চে উঠলেন সন্তুরবাদক পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, খেয়াল পরিবেশন করলেন পণ্ডিত উল্লাস কশলকর, সেতারে উস্তাদ শাহিদ পারভেজ খান, ধ্রুপদে অভিজিত কুণ্ডু ও বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়। বাঁশি শোনান পণ্ডিত রনু মজুমদার এবং সরোদ বাজান পণ্ডিত দেবজ্যোতি বসু।
আরও পড়ুন: উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর ধানমন্ডিতে
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই কত্থক পরিবেশন করেন অদিতি মঙ্গলদাস ডান্স কোম্পানি এবং দৃষ্টিকোণ ডান্স ফাউন্ডেশন।
উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসবের এই মাঠেই রয়েছে ফুড কোর্ট, রাতভর যাঁরা থাকবেন তাঁদের খাবারের জোগান দিতে। পাশাপাশি উৎসবের মাঠেই চলছে বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতসাধকদের জীবনী নিয়ে প্রদর্শনী। এটি সবার জন্যই বাড়তি প্রাপ্তি। সঙ্গীতের ইতিহাস জানার সুযোগটুকু কেউই হাতছাড়া করতে নারাজ। সে কারণে এখানেও বিস্তর ভিড়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy