খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি।
অনাথালয়ের কয়েক কোটি টাকা সরানোর মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করে দিল ঢাকার হাইকোর্ট। এই মামলায় কয়েক মাস আগেই ৫ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সোমবার আরও একটি দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেত্রীকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত।
মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমানের গঠিত বেঞ্চ খালেদার কারাবাসের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়। এ দিন সরকার পক্ষের আইনজীবী হিসাবে আদালতে ছিলেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। খালেদা জিয়ার পক্ষে কোনও আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে জিয়া অনাথালয় দুর্নীতি মামলায় খালেদাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও তাঁর পুত্র তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। তার পরে খালেদা জামিন পেলেও আইনি জটিলতায় মুক্তি পাননি। নতুন কারাদণ্ড পাওয়ার পরে ডিসেম্বরে ভোটের আগে তাঁর মুক্তি এক রকম অসম্ভব হয়ে পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রায় ১১ বছর আগে আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুটি দুর্নীতির মামলা শুরু হয়েছিল। অনাথাশ্রম গড়তে সৌদি রাজার কাছ থেকে দু’কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা নিয়ে তা সরিয়ে ফেলা হয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দুই ছেলের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তার পরে সেই টাকায় বগুড়ায় জমি-বাড়ি কেনা হয় ব্যক্তিগত নামে। টানা দশ বছর মামলা চলার পরে গত ফেব্রুয়ারি মাসে জিয়া এতিমখানা তহবিল দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছিল ঢাকা পঞ্চম জজ বিশেষ আদালত। সঙ্গে লোপাট হওয়া টাকার সম পরিমাণ জরিমানা। এ বার সেই ৫ বছরের কারাদণ্ড বাড়িয়ে দশ করে দিল আদালত।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচারে দোষী খালেদা, পাঁচ বছরের জেল
আরও পড়ুন: আর এক দুর্নীতি মামলায় ৭ বছর জেল খালেদার
মামলার অপর চার আসামি প্রাক্তন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রাক্তন সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ এবং জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে পলাতক তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান। ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy