পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলেচনায় তিস্তা চুক্তি নিয়ে আশ্বাস মিলেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সেটা কবে হবে সেই ভরসায় বসে না-থেকে জলসঙ্কট মোকাবিলায় সরকার নিজেরাই নিজেদের ব্যবস্থা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
দু’দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফর প্রসঙ্গে বুধবার নিজের বাসভবনে সংবাদিক সম্মেলন করে শেখ হাসিনা। তিস্তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের নদী কমিশন আলোচনা চালাচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তাও তার মধ্যে ছিল।’’ হাসিনা জানান, তবে জল কবে আসবে বলে বসে থাকেননি তিনি। বলেন, ‘‘আমার দেশের পানির ব্যবস্থা কী ভাবে করতে হবে, নিজেরাই সেটা করে চলেছি। নদী ড্রেজিং করছি। জলাধার তৈরি, পুকুর খনন করছি। নতুন খাল কাটছি।’’
হাসিনার কথায়, ‘‘খালেদাও ক্ষমতায় এসে ভারত সফরে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে বলেছিলেন— গঙ্গার জল বণ্টনের কথাটা বলতে ভুলে গিয়েছি! পরে আমাদের সরকার চুক্তি করে গঙ্গার জল আদায় করে। ৬৮ বছর ধরে বকেয়া থাকা স্থলসীমা চুক্তি, সেটাও আমরা করেছি। ভারতের সব দল সর্বসম্মতিতে এই চুক্তির পক্ষে দাঁড়িয়েছে।’’ হাসিনার কথায়, ভারত যখন কথা দিয়েছে, অপেক্ষা করতেই হবে। বলেন, ‘‘উতলা হলে হবে না। তিস্তা ব্যারেজ তো আমরাই করেছি। এখন নিজেরাই কেন বলছি— পানি নেই, পানি নেই!’’
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘‘আনন্দবাজারের খবর আপনি মোদীকে বলেছেন, অনেক কিছু দিয়েছেন, এ বার প্রতিদান চান। এটা কি ঠিক?’’ হাসিনা উত্তরে বলেন, ‘‘আমরা ভারতকে যা দিয়েছি, তারা তা সারা জীবন মনে রাখবে। প্রতিদিনের বোমাবাজি, গুলি থেকে আমরা তাদের শান্তি ফিরিয়ে দিয়েছি। এটা তাদের মনে রাখতেই হবে।’’ এর পরে বলেন, ‘‘প্রতিদানের কী আছে? আমি দেওয়ায় বিশ্বাসী, নেওয়ার অভ্যাস কম। এ দেশের বিভিন্ন সরকার ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকে মদত দিয়েছে। ধরা পড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র তো এক খেপ চালান। এমন কত হয়েছে কে জানে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy