বর্ষার আগেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটা অংশকে যাতে দেশে ফেরানো যায়, সে বিষয়ে মায়ানমারকে আরজি জানিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলি শনিবার বলেন, ‘‘বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। মাস দেড়েকের মধ্যে পুরোদমে বর্যার মরসুম চলে আসবে। বর্ষার আগেই যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঘরে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা য়ায়, সে বিষয়ে মায়ানমারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রীকে আমি বলেছি। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন।’’
কক্সবাজারের কুতুপালং অঞ্চলে মায়ানমার থেকে আসা প্রায় ৮ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছেন। প্লাস্টিকের ছাউনিতে তাঁদের মাথা গোঁজার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের আশঙ্কা, বর্ষা শুরু হলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন শরণার্থীরা। জলবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাবও হতে পারে। বিদেশমন্ত্রী জানান, এ মাসের মাঝামাঝি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলির একটি দল কক্সবাজারে শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করতে আসছেন। তিনি বলেন, ‘‘বর্ষায় শিবিরগুলির কী হাল হতে পারে, আমরা এই দলের সদস্যদের জানাবো। এর পরে মায়ানমারে গিয়ে তাঁরা যাতে সে দেশের সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে বোঝান, সেই অনুরোধ করব।’’
মন্ত্রী জানান, তবে বাংলাদেশ সরকার বসে নেই। বর্ষার সময়ে শরণার্থীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। মন্ত্রী জানান, বঙ্গোপসাগরে কয়েকটি দ্বীপকে বেছে সেখানে অন্তত এক লক্ষ শরণার্থীকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। মাহমুদ আলি বলেন, ‘‘তবে শরণার্থীদের সেখানে স্থায়ী ভাবে রাখা হবে না। মায়ানমারকেও আমরা বিষয়টি শুনিয়ে রেখেছি।’’
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী জানান, শরণার্থীদের ফেরানোর বিষয়ে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে চলেছে। রাখাইনে পুড়িয়ে দেওয়া রোহিঙ্গা গ্রামগুলিকে পুনর্গঠনে তারা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy