পশ্চিমবঙ্গবাসীর পাতে বরিশাল-চাঁদপুরের ইলিশ ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হল।—ফাইল চিত্র।
ইলিশ রফতানির ওপর বছর ছয়েক আগে চাপানো নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। প্রতিমন্ত্রী থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দফতরের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরে সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে নারায়ণচন্দ্র চন্দ এ খবর জানান।
মন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে পশ্চিমবঙ্গবাসীর পাতে ফের বরিশাল-চাঁদপুরের ইলিশের টুকরো ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হল। ইলিশপ্রেমীদের কাছে এটা অবশ্যই সুখবর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঢাকায় গিয়ে ইলিশ রফতানির আর্জি জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। হাসিনা তিস্তা চুক্তি না-হওয়ার খোঁচা দিয়ে জবাবে বলেছিলেন, ‘‘পানি এলেই ইলিশ সাঁতরে পৌঁছে যাবে!’’
দেশের বাজারে পর্যাপ্ত মাছ মিলছে না, এই যুক্তিতে ২০১২-র ১ অগস্ট থেকে ইলিশ-সহ সব ধরনের মাছ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে শেখ হাসিনা সরকার। এর পরে ওই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর অন্য মাছ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও ইলিশে তা থেকেই যায়। মন্ত্রী এ দিন জানান, রফতানি বন্ধ হলেও ইলিশের অবৈধ পাচার ঠেকানো যায়নি। নারায়ণবাবুর যুক্তি, এর ফলে রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। রফতানি শুরু হলে গোপনে মাছ যাওয়াটা কমবে।
অতীতে ইলিশ রফতানির সঙ্গে যুক্ত বরিশালের ব্যবসায়ী সমিতির নেতা শহিদউল্লাহ ফরাজি মন্ত্রীর ঘোষণায় খুশি। তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাদের কাছে বিরাট সুখবর। ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’’ ফরাজি জানান, সরকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করলেই তাঁরা আবার ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু করবেন।
তবে পশ্চিমবঙ্গের ইলিশ আমদানিকারীরা বলছেন, না-আঁচালে বিশ্বাস নেই। তাঁদের সংগঠনের সভাপতি অতুল সাহার কথায়, ‘‘মন্ত্রীর ঘোষণা নিশ্চয়ই সুখবর। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরেই বোঝা যাবে কতটা কী তারা রফতানি করতে চায়।’’
সম্প্রতি ইলিশের জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস) লাভ করেছে বাংলাদেশ। এর ফলে রফতানিতে সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন এক সরকারি কর্মকর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy