প্রতীকী চিত্র।
আইসিসি’র ফিউচার ট্যুর প্রজেক্টে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ছিল না। ১০ মাস ওয়ানডে ম্যাচের বাইরে কাটিয়ে নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নামবে কী ভাবে? ম্যাচ প্র্যাকটিসের আইডিয়া থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজকে সামনে রেখে আফগানিস্তানকে ডেকে এনেছে বিসিবি। তবে এত দিন আইসিসি’র যে সহযোগী দেশের বিরুদ্ধে সিরিজকে ইংল্যান্ড সিরিজের অনুশীলন পর্ব বলে গন্য করেছে বিসিবি, সেই আফগানিস্তানকেই যেন এখন ইংল্যান্ডের কাতারে দেখছে বাংলাদেশ দল। আড়াই বছর আগে এশিয়া কাপ ক্রিকেটে আফগানিস্তানের কাছে হারের যন্ত্রণা ২০১৫ বিশ্বকাপে লাঘব করেছে বাংলাদেশ। তারপরও আফগানিস্তানকে নিয়ে সতর্ক বাংলাদেশ। সর্বশেষ ৪টি ওয়ানডে সিরিজের একটিতেও হারেনি, জিম্বাবোয়েকে হারিয়েছে ২টি সিরিজে। গত বছরের নভেম্বরের পর থেকে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ নির্বাসিত, সেখানে এই ১০ মাসে ১০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে আফগানিস্তান। এটাও ভাবাচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। প্রতিপক্ষ র্যাঙ্কিংয়ে নিচু সারির দল বলে পা পিছলে গেলেই র্যাঙ্কিং পয়েন্ট হারানোর ভয় তো আছে যথেষ্টই। গত ১৪ মাস ধরে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ৭ এ সুসংহত থাকা অবস্থান ধরে রাখাটাই তাই চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ দলের।
শুক্রবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের ২৩৩-র চ্যালেঞ্জ নিতে পারেনি বিসিবি একাদশ। ৬৬ রানে হেরে গিয়েছে সফরকারীদের কাছে। বিসিবি একাদশের এই হারটাই তাই সতর্কবার্তা দিচ্ছে সাকিবদের। ওয়ানডে অভিষেকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৭৬ রানের ক্লাসিক ইনিংস খেলেও তাই প্রতিপক্ষের ২ লেগ স্পিনার সম্পর্কে টিমমেটদের দিয়েছেন সতর্কবার্তা। মোসাদ্দেকের মতে, “আমার মনে হয়েছে ওদের রশিদ নামে যে লেগ স্পিনার রয়েছে, সে ভাল জায়গায় বল রাখে। ওর আসলে গুগলিটা ভাল, একটা জায়গায় নাগাড়ে বল করতে পারে। ভেরিয়েশন আছে। আর ভেরিয়েশন যেটা আছে তা পারফেক্ট।”
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের যে পিচে হবে খেলা হবে, ফতুল্লার পিচ কিন্তু তার ঠিকই বিপরীত বৈশিস্ট্যের ছিল। সফরকারিদের ধাঁধায় ফেলতে অনুশীলন ম্যাচে এমন উইকেটই তৈরি করেছে বিসিবি। তারপরও পেশাদারী মানসিকতায় আফগানদের মোকাবেলা করতে চান তামিম ইকবাল। আফগানিস্তানকে ইংল্যান্ড ধরে নিয়েই খেলার কথা ভাবছেন তিনি। তামিমের মতে, “ইংল্যান্ড সিরিজের মতোই আফগানিস্তান সিরিজ সমান গুরুত্বপূর্ণ। ইংল্যান্ডকে আমরা যে ভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি, আফগানিস্তানকেও আমরা সে ভাবেই গুরুত্ব দিতে চাই। আমরা যদি হারি, সেটাও রেকর্ড বুকে যাবে, যদি জিতি সেটাও রেকর্ড বুকে যাবে। তাই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলার আগে যে ভাবে তৈরি হই, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও ঠিক একই ভাবে তৈরি হচ্ছি।” আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে জিম্বাবোয়ে ছাড়া অন্য কোনও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের রেকর্ড নেই আফগানিস্তানের। সে কারণেই বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতে ইতিহাস রচনার হুঙ্কার দিয়েছেন শুক্রবারের অনুশীলন ম্যাচে ১৯ বলে ৩২ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দেওয়া মিরওয়াইজ আশরাফ।আফগানদের গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আইসিসির একটি পূর্ণ সদস্য দেশ, উঁচুমানের দল,সব বিভাগেই শক্তিশালী। তবে আফগানিস্তানের মূল শক্তি বোলিং। লেগস্পিন, বাঁহাতি স্পিনের সঙ্গে ভাল মানের পেস বোলার আছে। তাই সামনের ম্যাচগুলো বাংলাদেশের জন্য খুব কঠিন হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy