একাত্তরের বীরাঙ্গনা। ছবি: সংগৃহীত
সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা আরও ২৪ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিল বাংলাদেশ। এই বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গত ১৭ নভেম্বর গেজেট জারি করেছে সরকার। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৭০ জন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৩৭তম সভার সিদ্ধান্তের ফলেই তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে এবারে সরকারী গেজেট প্রকাশিত হল।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরের বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও আলবদর রাজাকারদের কাছে নির্যাতিত নারীদের ‘বীরাঙ্গনা’ স্বীকৃতি দিয়ে তাঁদের সম্মান জানান। তিনি ১৯৭২ সালে প্রতিটি জনসভায় বীরাঙ্গনাদের উদ্দেশে বলেন, “কেউ যদি বীরাঙ্গনার সন্তানদের পিতার নাম জিজ্ঞেস করে, তবে বলে দিও তাঁদের পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। আর তাদের ঠিকানার পাশে লিখে দিও ধানমন্ডি ৩২।" তাঁর নির্দেশনায় বীরাঙ্গনাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়, যা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আগে পর্যন্ত চলেছিল।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে যায়। একই সঙ্গে সামরিক শাসকদের মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে পাকিস্তানি জান্তার সহযোগীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এর পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই মধ্যে এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনাও আসে।
এখন থেকে এই তালিকার ২৪ জনই প্রতি মাসে নিয়মিত মুক্তিযাদ্ধা ভাতা-সহ মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা পাবেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানিদের হাতে নির্যাতিত ১৬ বীরাঙ্গনা পেলেন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy