Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Bangladesh News

‘অপারেশন স্টর্ম ২৬’ নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে ফের কড়া বার্তা হাসিনার

শান্তির ধর্ম ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ধর্মান্ধরা। এই সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদের কাছে মাথানত করবে না বাংলাদেশ। ফের স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনার মতে জনগণের মধ্যে জঙ্গিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৬ ১৪:৪৭
Share: Save:

শান্তির ধর্ম ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ধর্মান্ধরা। এই সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদের কাছে মাথানত করবে না বাংলাদেশ। ফের স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনার মতে জনগণের মধ্যে জঙ্গিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে। তাই সারা দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিদের নির্মূল করার ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত। মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে চার দিন ব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন উদ্বোধন করেন হাসিনা। সেখানেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তিনি। তার আগেই, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশ বিশেষ বাহিনী-সহ দীর্ঘ অভিযান চালায় ঢাকার কল্যাণপুরে। অভিযানে ন’জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। জীবন্ত ধরা পড়েছে একজন।

ডিসি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে নতুন উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এক দল ধর্মান্ধ ইসলামের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছে। বিগত বেশ কিছু দিন ধরে বিচ্ছিন্নভাবে সন্ত্রাসীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরীহ মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করে আসছে। এ সব কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এখন হুমকির মুখে।’

আরও পড়ুন:‘ওরা জেএমবির লোক’! ফের আইএস তত্ত্ব ওড়াল বাংলাদেশ পুলিশ

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলা, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার হামলার ঘটনা উল্লেখ করে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন তিনি। কল্যাণপুরের অভিযানে জঙ্গিদের বড় ধরনের নাশকতার ষড়যন্ত্রকে নস্যাত করে দেওয়ার ঘটনাও উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষ খুন করা ইসলাম সমর্থন করে না। ইসলাম ধর্মের নামে যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে তারা প্রকৃতপক্ষে ইসলামকেই কলুষিত করে।’ জঙ্গিরা ইসলামের বন্ধু নয় শত্রু, বলেন হাসিনা।

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে হাসিনার বার্তা, ‘এ সমস্যা একক প্রশাসনিক প্রচেষ্টায় মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এটা সম্মিলিতভাবে সমাধান করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে করতে হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, সারা দেশে জঙ্গিবাদ বিরোধী ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে, এটিকে কাজে লাগাতে হবে।’ এ সময় জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনারদের নিজ নিজ এলাকায় জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি গঠনের কাজে মূল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bangladesh Seikh Hasina
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE