বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া।
দুর্নীতির মামলায় রায় বেরোনোর আগে দলের নেতৃত্ব ছেলে তারেক রহমানের হাতে দিয়ে সরকার ফেলার আন্দোলনের হুমকি দিলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। শনিবার দলের নির্বাহী কমিটির বৈঠক ডেকে কর্মীদের পাশাপাশি দেশবাসীর উদ্দেশেও বক্তৃতা দেন বাংলাদেশের প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী। তাতে তাঁর দাবি, সাজানো মামলায় শাস্তি দিয়ে তাঁকে নির্বাচনের বাইরে রাখার অপচেষ্টা করছে সরকার। ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই সরকারের ফেলার আন্দোলনে নামার জন্য তিনি ডাক দেন। দাবি করেন— মানুষ, পুলিশ, প্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনী তাঁর পাশে।
জিয়া এতিমখানা (অনাথালয়) তহবিল থেকে দু’কোটি ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের মামলায় বুধবার রায় দেবে আদালত। বিএনপি আগেই হুমকি দিয়েছে, ‘অন্যায় বিচারে’ তাদের নেত্রীকে জেলে পাঠানো হলে তারা সরকার ফেলার লক্ষ্যে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঘোষণা করেছেন, ‘‘অরাজকতা হতে দেওয়া হবে না।’’ পুলিশ প্রধান জাভেদ পাটোয়ারিও একই কথা বলেছেন। রবিবার বিএনপি কর্মীরা ঢাকায় পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে গ্রেফতার হওয়া কয়েক জন কর্মীকে ছাড়িয়ে নেয়। এর পরে বিএনপি-র প্রায় আড়াইশো নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে খালেদার উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান ও নির্বাহী কমিটির কয়েক জন সদস্য রয়েছেন। গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি-সহ কয়েক জন নেতা।
ক’দিন আগেই বিএনপি-র স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিচারে খালেদার জেল হলে লন্ডনে ফেরার থাকা তাঁর পুত্র তারেকই দলের সর্বোচ্চ নেতা হবেন। তাঁর পরামর্শ নিয়ে স্থায়ী কমিটি দল চালাবে। অনেকের ধারণা, এর ফলে বিএনপি-তে কট্টরপন্থীদের বাড়বাড়ন্ত হবে। এ দিন খালেদা বলেন, ‘‘আমি যেখানেই থাকি, আপনাদের সঙ্গেই আছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy