Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সাত গণহত্যায় দুই আসামির ফাঁসির রায়

একাত্তরে মুসলিম লিগের নেতা লিয়াকত ক’বছর পরে ভোল বদলে আওয়ামি লিগে যোগ দেয়। ২০০৩ থেকে সে আওয়ামি লিগের লাখাই থানা কমিটির সভাপতি ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৮ ০১:১১
Share: Save:

একাত্তরের ১৮ সেপ্টেম্বর পাক সেনা সদস্য ও রাজাকার বাহিনীকে নিয়ে বাংলাদেশের হবিগ়ঞ্জ জেলার লাখাই থানার কৃষ্ণপুর গ্রাম ঘিরে ফেলে লিয়াকত আলি ও আমিনুল ইসলাম। গ্রামের ৪৩ জন হিন্দু পুরুষকে নৃপেন রায়ের বাড়ির উঠোনে জড়ো করে গুলি করে সকলকে মেরে ফেলা হয়। গণধর্ষণ করা হয় গ্রামের সব মহিলাকে। সেই গণহত্যা-সহ সাতটি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে সোমবার লিয়াকত ওরফে রজব আলি এবং আমিনুলকে ফাঁসির দণ্ড দিল বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ আদালত।

একাত্তরে মুসলিম লিগের নেতা লিয়াকত ক’বছর পরে ভোল বদলে আওয়ামি লিগে যোগ দেয়। ২০০৩ থেকে সে আওয়ামি লিগের লাখাই থানা কমিটির সভাপতি ছিল। ২০১০-এ লিয়াকতের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হওয়ার পরে শাসক দলের নেতা হওয়ায় তার শাস্তি হবে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ ছিল। কিন্তু নিজেদের ৩৫তম রায়ে তাকে চরম দণ্ডই দিয়েছে যুদ্ধাপরাধ আদালত। এই মামলার প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত জানান, ৭টি গণহত্যায় আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রশ্নাতীত ভাবে প্রমাণ হওয়ায় ফাঁসির কম সাজা দেওয়া আদালতের পক্ষে সম্ভব ছিল না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Verdict Death Sentence Genocide
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE