Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সরকারি হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন খালেদা

শেষ পর্যন্ত সরকারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হলেন বাংলাদেশের কারাবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশ শনিবার তাঁকে কড়া পাহারায় নিয়ে গিয়ে ওই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে।

অবশেষে: হাসপাতালের সামনে গাড়ি থেকে নামছেন খালেদা জিয়া। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

অবশেষে: হাসপাতালের সামনে গাড়ি থেকে নামছেন খালেদা জিয়া। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৪০
Share: Save:

শেষ পর্যন্ত সরকারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হলেন বাংলাদেশের কারাবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশ শনিবার তাঁকে কড়া পাহারায় নিয়ে গিয়ে ওই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে।

আনাথালয়ের জন্য আসা কয়েক কোটি টাকার বিদেশি সাহায্য নিজের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে পাঁচ বছর জেল হয়েছে খালেদা জিয়ার। ঢাকার নাজিমুদ্দিন সড়কের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁকে রাখা হয়। অসুখের কথা বলে প্রথমে তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর জামিন মেলেনি। পরে পছন্দের দুই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির জন্য তাঁর দল বিএনপি-র নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের দ্বারস্থ হন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিযুক্ত মেডিক্যাল বোর্ড তাঁর গুরুতর কোনও অসুখ না পেয়ে জানায়, সরকারি মেডিক্যাল কলেজেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা সম্ভব। সম্প্রতি হাইকোর্ট জানায়, চিকিৎসা করাতে চাইলে বেগম জিয়া সরকারি মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য অরাজনৈতিক চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বোর্ড গড়ার নির্দেশও দেয় আদালত।

এর পরে আর জেদাজেদি না করে, সেখানে ভর্তি হতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন বিএনপি নেত্রী। ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখে জেলে যাওয়ার পরে এই প্রথম জেলের বাইরে রাত কাটাবেন ৭৩ বছরের প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে এক বারই কয়েক ঘণ্টার জন্য তাঁকে জেলের বাইরে হাসপাতালে আনা হয়েছিল স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। অসুস্থতার কথা বলে তিনি আর একটি দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিচ্ছিলেন না। মামলাটি প্রায় ১০ বছর ধরে ঝুলে থাকায় সরকার জেলের মধ্যেই আদালত বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু খালেদা প্রথম দিনের শুনানিতে সেখানে হাজির হয়ে জানিয়ে দেন— বিচারক তাঁকে যে শাস্তি দিতে চান দিন, তিনি আর হাজিরা দেবেন না। কারণ আদালতে চেয়ারে বসে থাকলে তাঁর পা ফুলে যেতে পারে।

এ দিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রধান যে শর্তগুলি দিয়েছে, তার অন্যতম জেল থেকে খালেদার মুক্তি। সরকার অবশ্য বলছে, বিষয়টি আদালতের এক্তিয়ারে। বিচার বিভাগের ওপর খবরদারি করার অভিপ্রায় তাদের নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Khaleda Zia Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE