Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

বন্ধনে যাত্রী বহন শুরু পরশু

রেল সূত্রের খবর, আপাতত ট্রেনটি প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার যাতায়াত করবে। সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কলকাতা স্টেশন থেকে ছেড়ে ট্রেনটি খুলনায় পৌঁছবে বেলা সাড়ে ১২টায়। ফিরতি পথে ঢাকা থেকে বেলা দেড়টায় ছেড়ে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে কলকাতায় পৌঁছবে বন্ধন।

কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস। ছবি: সংগৃহীত।

কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস। ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৭ ০২:২৪
Share: Save:

আনুষ্ঠানিক সফরের সূচনা হয়ে গিয়েছে ৯ নভেম্বর। প্রশাসনিক কাজকর্ম শেষ। আগামী ১৬ নভেম্বর বাণিজ্যিক ভাবে দৌড় শুরু করছে কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস।

রেল সূত্রের খবর, আপাতত ট্রেনটি প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার যাতায়াত করবে। সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কলকাতা স্টেশন থেকে ছেড়ে ট্রেনটি খুলনায় পৌঁছবে বেলা সাড়ে ১২টায়। ফিরতি পথে ঢাকা থেকে বেলা দেড়টায় ছেড়ে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে কলকাতায় পৌঁছবে বন্ধন। এ দেশের যাত্রীদের জন্য অভিবাসন ও শুল্ক দফতরের পরীক্ষার ব্যবস্থা হচ্ছে কলকাতা স্টেশনে। বাংলাদেশে আপাতত ওই দুই পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়েছে বেনাপোল সীমান্তে। তবে খুলনা স্টেশনের পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেলে সেই স্টেশনেই ওই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। রেলকর্তারা জানান, দুই প্রান্তিক স্টেশনে অভিবাসন ও শুল্ক পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করায় মৈত্রী এক্সপ্রেসের সফরকাল দু’ঘণ্টা কমে গিয়েছে। এখন থেকে গেদে ও দর্শনায় নয়, মৈত্রী এক্সপ্রেসের অভিবাসন ও শুল্ক দফতরের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতা ও ঢাকা স্টেশনে।

রেল জানাচ্ছে, কলকাতা স্টেশন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ছাড়বে প্রতি সোম, মঙ্গল ও শুক্রবার। ফিরতি পথে ঢাকা থেকে ট্রেনটি ছাড়বে বুধ, শুক্র ও শনিবার। এখন কলকাতা স্টেশন থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছেড়ে মৈত্রী ঢাকায় পৌঁছবে বিকেল ৪টে ৫ মিনিটে। ফিরতি পথে ঢাকা থেকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে সে কলকাতায় পৌঁছবে বিকেল ৪টেয়। পূর্ব রেলের কর্তারা জানান, কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেসের আসন সংরক্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। বাতানুকূল প্রথম শ্রেণির ভাড়া ধার্য হয়েছে ১৫ মার্কিন ডলার। বাতানুকূল চেয়ারকার ১০ মার্কিন ডলার। সমপরিমাণ ভারতীয় মুদ্রাতেও আসন সংরক্ষণ করা যাবে। ভিসা ও পাসপোর্ট দেখিয়ে ওই ট্রেনের আসন সংরক্ষণ করতে হবে যাত্রীদের। আপাতত ১০ কামরার বন্ধন এক্সপ্রেসে চারটি বাতানুকূল প্রথম শ্রেণি, চারটি বাতানুকূল চেয়ারকার এবং দু’টি জেনারেটর কার থাকছে। রেলের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, ট্রেন ছাড়ার দু’ঘণ্টা আগে অভিবাসন ও শুল্ক পরীক্ষার জন্য যাত্রীরা যেন স্টেশনে পৌঁছে যান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE