Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

নাগরিক পঞ্জি নিয়ে হাসিনাকে আশ্বাস মোদীর

সন্ধ্যায় কাঠমান্ডুতে বিমস্টেক সম্মেলনের পাশে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেন উপমহাদেশের এই দুই নেতা। 

মৈত্রী: বৈঠকের পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডুতে। ছবি: পিটিআই ।

মৈত্রী: বৈঠকের পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডুতে। ছবি: পিটিআই ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৮ ০৩:০৫
Share: Save:

বছরের শেষে বাংলাদেশে ভোট। তার আগে সম্ভবত এই শেষ বারের জন্য মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সন্ধ্যায় কাঠমান্ডুতে বিমস্টেক সম্মেলনের পাশে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেন উপমহাদেশের এই দুই নেতা।

সূত্রের খবর, বৈঠকে মোদী এনআরসি নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন হাসিনাকে। জানিয়েছেন, নির্বাচনের মুখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল হয়ে যাক সেটা আদৌ ভারতের কাম্য নয়। অসমে চিহ্নিত হওয়া শরণার্থী এবং অনুপ্রবেশকারীদের ভারত যে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না, হাসিনা এ বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। পাশাপাশি মোদী এ কথাও জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য ঢাকাকে দোরে দোরে ঘুরতে হবে না। নয়াদিল্লি এই সমস্যায় সর্বতো ভাবে ঢাকার পাশে রয়েছে। মায়ানমারের সঙ্গে এই নিয়ে দৌত্য যেমন চলছে, পাশাপাশি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোও চলছে। অদূর ভবিষ্যতে এই সাহায্যের বহর আরও বাড়ানো হবে। আবার মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ আবাসও গড়ে দিচ্ছে দিল্লি। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ নিয়েও ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

অন্য দিকে বাংলাদেশ সূত্রে জানানো হয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে সে দেশের উন্নয়নে ভারতের ভূমিকার কথা আজ উল্লেখ করেছেন হাসিনা। এ জন্য মোদীকে ধন্যবাদও দিয়েছেন তিনি। দু’দেশের পারস্পরিক উন্নয়নের জন্য সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে আজকের বৈঠকে।

দুই প্রতিবেশী দেশের বোঝাপড়া বাড়াতে মোদী-হাসিনার এই বৈঠককে গুরুত্ব দিচ্ছেন কূটনীতিকেরা। নানা বিষয়ে বেশ কিছুটা তেতে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি। ভারতে অসমের চলতি এনআরসি বিতর্কের আঁচ ঢাকাতেও পড়েছে।

বাংলাদেশে বিষয়টি নিয়ে ভারত-বিরোধী সুরও চড়া হচ্ছে। ভারতের পক্ষে এর আগে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী, শাসক দল আওয়ামি লিগের শীর্ষ নেতা-সহ বিভিন্ন স্তরের বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের জানানো হয়েছিল অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। আজ শীর্ষ পর্যায়েও এই বার্তাই বাংলাদেশকে দিয়েছে ভারত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE