বাংলায় লেখা সেই টুইট।
দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত বন্ধুত্বের গায়ে যেন এ বার একটু অন্য রকম আবেশ ছড়িয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনিতেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আস্থার সম্পর্ক অন্য যে কোনও সময়ের চেয়ে তুঙ্গে বলেই মানেন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। আর এ বার ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকার জোট) এবং বিসমটেক (বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, ভুটান এবং নেপালের জোট)-এর যৌথ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে বাংলায় টুইট করে সেই আস্থায় যেন আবেগের পরশ ছড়িয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
আজ রোববার সকালেই ব্রিকস-বিমসটেক লিডারস আউটরিচ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতের গোয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সোয়া ১০টায় (ভারতীয় সময়) গোয়া পৌঁছন তিনি। ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এমজে আকবর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী আলিনা সালদানহা, গোয়া সরকারের সচিব পদ্মা জায়সবাল এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোজাম্মেল আলি গোয়ার নৌ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। বলে সরকারি বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে রেড কার্পেট অভ্যর্থনা জানানো হয়। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে হোটেল দি লিলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সফরকালে শেখ হাসিনা সেখানেই থাকবেন।
শেখ হসিনাকে এ দেশে স্বাগত জানিয়ে বাংলায় টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা, আমার আতিথেয়তা গ্রহণ করায় আমি সম্মানিত। ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ককে মজবুত করার জন্য আপনার ভূমিকাকে ধন্যবাদ জানাই।’
এ বারের দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের বিযয়- ‘ব্রিকস-বিমসটেক: একটি অংশীদারিত্বের সুযোগ।’ সার্কের বাইরে বঙ্গোপসাগরের চারপাশের দেশগুলোর উন্নয়নে বিমসটেক কাজ করছে। সেই সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকার কথা সম্প্রতি দি হিন্দুর সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে তুলে ধরেছিলেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গোপসাগরের চারপাশের দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে গঠিত বিমসটেকের আমিও একজন প্রতিষ্ঠাতা, যেহেতু ১৯৯৭ সালে আমি প্রধানমন্ত্রী ছিলাম। নরেন্দ্র মোদি সংস্থাটিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এবং এ জন্য আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।”
আজ বিকেলে বিমসটেক লিডারস রিট্রিট এবং ব্রিকস-বিমসটেক লিডারস আউটরিচ শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন হাসিনা। সম্মেলনের ফাঁকে হাসিনার সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রেয়ুট চ্যান-ও-চা, নেপালি প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে।
আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy