বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল নতুন বিরোধী রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। যদিও পূর্বঘোষিত ২৩ ডিসেম্বরের বদলে নির্বাচন আরও একমাস পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে তারা। ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের তরফে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা বর্তমান তফসিল বাতিল করে নির্বাচন এক মাস পিছিয়ে দিয়ে নতুন তফসিল ঘোষণার দাবি করছি। “
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেনের পক্ষে লিখিত বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, “নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত খুবই কঠিন। কিন্তু এরকম ভীষণ প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অংশ হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” দাবী আদায়ের অঙ্গ হিসেবেই নির্বাচনে লড়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
পাশাপাশি বিএনপি-র তরফে অভিযোগ, ‘‘আওয়ামি লিগের সুবিধের কথা মাথায় রেখেই ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন। তড়িঘড়ি একাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণা প্রমাণ করে সরকার আলোচনার মাধ্যমে কোনও সমঝোতার রাস্তায় হাঁটার পক্ষপাতী নয়। কোনও শর্তই সরকার পালন করেনি। এই পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অসম্ভব। তারপরও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
আরও পড়ুন: ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ভোট, খালেদা ফের জেলে
প্রেসক্লাবের এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, ফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ ফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।
আরও পড়ুন: খালেদার মুক্তি ছাড়া ভোট নয়: বিএনপি
ঐক্যফ্রন্টের এই ঘোষণার ১৫ মিনিট আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন, জামাতে ইসলামী সহ ২০ দলীয় জোটও ভোটে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
(সারা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে বাংলায় খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy