Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

ঠিক যেন চা! নতুন মাদক উদ্ধার ঢাকায়

ঢাকার মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম শিকদার জানালেন, এনপিএস মূলত চিবিয়ে বা জলে ফুটিয়ে চায়ের মতো খাওয়া হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:০১
Share: Save:

‘দেখতে চায়ের পাতার মতো। কিন্তু মাদক হিসেবে প্রচণ্ড শক্তি এই পাতায়। এই পাতার নাম ‘নিউ সাইকোট্রফিক সাবস্ট্যানসেস’, সংক্ষপে এনপিএস। ঢাকার মাদকাসক্তদের কাছে এর নাম হচ্ছে ‘খাত’ বা ‘খাট’।

ঢাকার মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম শিকদার জানালেন, এনপিএস মূলত চিবিয়ে বা জলে ফুটিয়ে চায়ের মতো খাওয়া হয়। তার পরে পার্টি ড্রাগ ইয়াবা-র মতোই নাকি অনুভব হয়। নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এনপিএস-এ আসক্তরা মনোবিকলনে ভোগেন। সামাজিক ভাবে নিজেকে নিঃসঙ্গ মনে করেন।

সম্পতি ঢাকায় এনপিএস-এর দুটি চালান বাজেয়াপ্ত করেছে শুল্ক বিভাগ। তার পরেই শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন এই মাদকের নাম। তবে কর্মকর্তারা মনে করছেন, তাঁদের চোখ এড়িয়ে এনপিএস হয়তো অনেক আগেই ঢাকায় পৌঁছেছে। না হলে মাদকাসক্তদের মধ্যে তার চাহিদা তৈরি হল কী ভাবে?

শনিবার দ্বিতীয় বারের মতো ধরা পড়ল এনপিএস-এর চালান। ঢাকা বিমানবন্দরের কার্গো ইউনিটের ভেতরে ১৬০ কিলোগ্রাম এনপিএস আটক করেছে শুল্ক বিভাগ। এর আগে গত ৩১ অগস্ট প্রথম চালানটি আটক করেছিল তারা। শুল্ক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার ওথেলো চৌধুরী জানান, গোয়েন্দারা আগেই খবর দিয়েছিল ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের মুম্বই থেকে বিমানে ৯টি এনপিএস-এর চালান আসবে। ওই দিন ৯টি সন্দেহজনক কার্টন আসে।যা আটক করার পরে পর্যবেক্ষণে
রাখা হয়। শনিবার কার্টনগুলি খোলার পর অবিকল ‘গ্রিন টি’র মতো দেখতে পণ্যগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরে এক জন ফরেন্সিক
বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা করে জানান, সেগুলি এনপিএস-ই। ওই শুল্ককর্তা জানান, এই পণ্যগুলির রফতানিকারীর নাম লেখা আছে জিয়াদ মহম্মদ ইউসুফ, ঠিকানা ইথিওপিয়ার
আদ্দিস আবাবা। আর আমদানিকারী ঢাকার এশা এন্টারপ্রাইজ়। প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানাও দেওয়া রয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বিষয়টি তদন্ত করছেন।

গত ৩১ অগস্টও এনপিএস-এর চালানটি এসেছিল আদ্দিস আবাবা থেকে। জিয়াদ মহম্মদ ইউসুফ নামে এক ব্যক্তি ঢাকার নওয়াহিন এন্টারপ্রাইজ় নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে চালানটি পাঠিয়েছিলেন। চালান বাজেয়াপ্তের পরে শুল্ক বিভাগ দুই দফায় অভিযান চালিয়ে বিমানবন্দর ও শান্তিনগর প্লাজ়া থেকে মোট ৮৬১ কেজি এনপিএস আটক করে। নাজিম নামে এক জনকে গ্রেফতারও করা হয়। শুল্ক কর্তা নজরুল ইসলাম শিকদার জানান, ১৯৬১ সালের প্রচলিত মাদক আইন অথবা ১৯৭১ সালের ওষুধ আইনে এনপিএস নিয়ন্ত্রণযোগ্য নয়। যদিও স্বাস্থ্যের পক্ষে এটা প্রচণ্ড ক্ষতিকর। তাই এই মাদক নিয়ে তাঁদের একটু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

NPS Drug Dhaka
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE