সার্কের বাঁধন আলগা করতে ব্যস্ত চিন। তারা চায়, আট সদস্য দেশ একে অন্যের অচেনা হয়ে উঠুক। বিচ্ছিন্ন হলে ছিনিমিনি খেলতে সুবিধে। হাতে পাকিস্তান। বাকিদের নিয়ে খেলা। ফল মেলেনি এখনও। টার্গেট বাংলাদেশ, নেপাল। উন্নয়নে সহযোগিতার নামে ভারতের থেকে বিচ্ছিন্ন করে তোলার চেষ্টা। ৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফর ঘিরে বিতর্ক বাঁধুক চেয়েছিল চিন। ইচ্ছেপূরণ হয়নি। মিথ্যে তর্ক মাঠে মারা গেছে।
চিনের ঘুম কেড়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা। ভারতের স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা 'ইসরো'র প্রধান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র। লঞ্চ ভেহিকেলের সলিড মোটর জোগান দেওয়া ছাড়াও এখানে রকেট বা স্যাটেলাইটের সব সিস্টেম আছে। আছে লিকুইড প্রপেলান্ট মজুতের ব্যবস্থা। যন্ত্রাংশ সমন্বয়ের কাজও করে। কেন্দ্রটি ইসরো রেঞ্জ অ্যান্ড টেস্ট ফেসিলিটি বা আই আর টি আর প্রপেল্যান্ট অ্যান্ড টেকনিক্যাল সার্ভিসেস ফেসিলিটি নিয়ে গঠিত। মহাকাশ যোগাযোগ নিশ্চিত করেছে শ্রীহরিকোটা। একের পর এক সফল উৎক্ষেপণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বৃদ্ধি ছাপিয়ে যাবে বাজেট প্রত্যাশাকে
সেই সাফল্যের সঙ্গে যুক্ত নতুন পালক। সার্কের জয়যাত্রা শুরু মহাকাশে। ৫ মে ভারত শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ কেন্দ্র থেকে জি এস এল ভি-এফ ০৯ রকেটে 'জিস্যাট-৯' কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠালো মহাকাশে। উৎসর্গ করল সার্ককে। পাঠানোর প্রাক মুহূর্তে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সে সার্ক সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন। পাঠানোর পর টুইটে জানালেন, দক্ষিণ এশীয় উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপন এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সম্পর্কের নতুন দিক খুলে গেল। উচ্ছসিত সার্ক সদস্যরা। উল্লাস গোপন রাখতে পারলেন না শেখ হাসিনা। মুখ ফিরিয়ে রইল একমাত্র পাকিস্তান। উল্টো অভিযোগ করলেন পাকিস্তান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়া। তিনি বললেন, দিল্লি বুঝিয়ে দিয়েছে এই উদ্যোগে সকলকে সামিল করতে তারা আগ্রহী নয়।
টেলিকম, টেলি-মেডিসিনের সংযোগকারী কৃত্রিম উপগ্রহটি। তাছাড়াও সুনামি, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সাহায্য করবে। উপকৃত হবে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ, আফগানিস্তান। হটলাইনে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগও রাখতে পারবে। যে লাইন কাটতে চাইছে চিন, সেটা পাকাপাকি ভাবে জুড়ে দেওয়ার অর্থ তারা বোঝে। পাকিস্তান জানে, সার্কের অন্য সদস্যরা তাদের প্রতি বিরূপ। সার্ককে কোনও ভাবেই প্রভাবিত করতে পারবে না। পাক সেনাদের সহযোগিতায় জঙ্গিরা ভারতে নির্মম নাশকতা চালাচ্ছে। চিন কোনও মন্তব্য করতে স্বীকার করেছে। উল্টে অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ভারতকে হুমকি দিচ্ছে। ভারতে আশ্রিত তিব্বতের ধর্মীয় নেতা দলাই লামাকে ফের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করেছে। পরিস্থিতির জটিলতা এমনই যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিন সফরের অনুমতি দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সব বাধা ডিঙিয়ে ধূসর মহাকাশে আলো ছড়াচ্ছে 'জি-স্যাট-৯'।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy