Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

খালেদার আইনজীবীকে ফেরত কেন, বিতর্কে দিল্লি

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইলকে কাল রাতে দিল্লি বিমানবন্দর থেকেই ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে দিনভর সরব রাজধানী। নির্বাচনের মুখে বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামি লিগের অনুরোধেই দিল্লি এই  সিদ্ধান্ত নিল কি না, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে।

খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৮ ০২:৫২
Share: Save:

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইলকে কাল রাতে দিল্লি বিমানবন্দর থেকেই ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে দিনভর সরব রাজধানী। নির্বাচনের মুখে বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামি লিগের অনুরোধেই দিল্লি এই সিদ্ধান্ত নিল কি না, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে।

কার্লাইল নিজে আজ লন্ডন পৌঁছেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে মোদী ও হাসিনা সরকারের তুলোধনা করেছেন। অন্য দিকে, সাংবাদিক সম্মেলন করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, আইনজীবী তথা হাউস অব লর্ডসের সদস্য কার্লাইল আসলে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সমস্যা তৈরি করতে চাইছেন। তিনি যে ভিসার আবেদন করেছিলেন তার সঙ্গে কার্লাইলের নির্ধারিত কর্মসূচিও সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না।

সূত্রের খবর, কার্লাইল যাতে নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ না দাগতে পারেন তার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গেও সে দেশের সরকারের আলোচনা হয়েছে। আওয়ামি লিগের অনুরোধেই এ ভাবে কার্লাইলকে ফেরত পাঠানো হল, অভিযোগ করছে বিএনপি। প্রশ্ন উঠছে, কার্লাইলের ভিসা যদি খারিজ করাই হয়, তা হলে তিনি লন্ডন থেকে দিল্লিগামী বিমানে উঠলেন কী করে?

ভিডিয়ো কনফারেন্সে কার্লাইল বলেন, ‘‘ভারত বাংলাদেশের চাপে পড়ে দাসত্ব করছে। হাউস অব লর্ডসের এক জন সদস্যের সঙ্গে যা করা হল, তা লজ্জাজনক। ভারত সরকার ভাল করে জেনেই আমাকে ভিসা দিয়েছিল। পরে হাসিনা সরকারের অনুরোধে ভিসা নাকচ করা হয়।’’ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমারের বক্তব্য, ‘‘কার্লাইল বিজ়নেস ভিসার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ওই ভিসা নিয়ে তিনি ভারতের মাটিতে বসে অন্য দেশকে নিয়ে রাজনৈতিক সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন না। ওঁর উদ্দেশ্য, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেই শুধু নয়, ভারত ও বিএনপি-র মধ্যেও সমস্যা তৈরি করা।’’ রভীশের মতে, ভারতীয় নেতারা বাংলাদেশে গেলে কূটনৈতিক প্রথা মেনে বিএনপি নেতাদের সঙ্গেও দেখা করেন। কোনও পক্ষপাতিত্বের প্রশ্নই ওঠে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE