অভিযানে র্যাব
অপারেশন শরতের তুফান। আর এক বড়সড় জঙ্গিনাশী অভিযান চলল বাংলাদেশে। গাজিপুর আর টাঙ্গাইলের তিনটে ডেরায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হানায় অন্তত ১১ জঙ্গি নিহত হয়েছে। ইতিমধ্যেই পরপর অভিযানে বেশ নড়বড়ে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদীদের সাংগঠনিক ভিত। কিন্তু এখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছে, লুকিয়ে থেকে নতুন করে জাল ছড়ানোর চেষ্টা করছে কেউ কেউ। আর সে দিকেই কড়া নজর রেখেছে প্রশাসন। কোথায় কোথায় ঘাপটি মেরে আছে জঙ্গিদের দলের লোকজন তার খোঁজে গোয়েন্দা অভিযান অব্যাহত। সতর্ক রয়েছেন সাধারণ মানুষও। শনিবার ভোরে এমনই গোপন খবরের ভিত্তিতে চলল পরপর অভিযান। ঢাকার পাশের গাজিপুর জেলায় দুটি এবং টাঙ্গাইল জেলাতে একটি, মোট তিনটি বাড়ির জঙ্গি আস্তানায় শনিবার অভিযান চালায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গাজিপুরে আধ কিলোমিটারের মধ্যে দুটি জঙ্গি আস্তানায় র্যাব ও পুলিশের অভিযান চলে ভোর থেকে। একটি ডেরায় দু’জন এবং আর অন্যটিতে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
সফল জোড়া অভিযানের খবর পেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নিজে গাজিপুরে যান। পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান ও জাবেদ পাটোয়ারীও ছিলেন সেখানে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে যারা ছিল, সবাই জঙ্গি গ্রুপের সঙ্গে জড়িত। কিছু একটা করার জন্য তারা এখানে ছিল। তামিম চৌধুরী নিহত হওয়ার পর আকাশের নেতৃত্বে নব্য জেএমবি সংঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের শুরুতে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্ত তা না করে তারা উল্টে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় গুলি চালায়। পরে ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাত জঙ্গির মরদেহ পাওয়া যায়।” গাজিপুরের হারিনালের পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযানে নিহত হয়েছেন দুই জঙ্গি এবং পাতারটেক এলাকায় অপর অভিযানে নিহত হয়েছেন আরও সাত জঙ্গি। অন্য দিকে টাঙ্গাইল শহরের কাগমারা মির্জামাঠ এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযানে নিহত হয়েছে আরও দুই জঙ্গি। গোটা অভিযানটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন শরতের তুফান’। সোয়াত, বম্ব ডিস্পোজাল টিম, কাউন্টার টেররিজম, জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। পাতারটেকের ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, কয়েকটি চাপাতি ও একটি গ্যাস সিলিন্ডার। গোলাগুলির মধ্যে ১৪টি গ্রেনেড ফেটেছে। শনিবার দুপুরে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান জানিয়েছেন, গাজিপুরের প্রথম অভিযানে নিহত দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হল রাশেদ মিয়া ও তৌহিদুল ইসলাম। ওই বাড়ির মালিকের কাছ থেকে তাদের নাম জানা গেছে। তাদের বাড়ি নরসিংদীতে।
আরও পড়ুন- সন্ত্রাসবাদীরাই সংখ্যালঘু, বাংলাদেশে দুর্গাপুজো চলছে রমরমিয়ে
আরও পড়ুন- বাঙালির দুর্গাপুজো, নতুন রূপে নতুন সাজে
আরও পড়ুন- ভিজে আকাশেই সপ্তমে পুজোর আনন্দ, দেখুন ছবিতে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy