Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

সীমান্তে আটকেই রোহিঙ্গারা

ফলে দু’দেশের সীমান্তের মাঝে আজও আটকে রইল ১৬ শিশু-সহ ৩১ জনের রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের দলটি।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
নয়াদিল্লি ও আগরতলা শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৩১
Share: Save:

তিন দিন পরেও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গা জট কাটল না। এর ফলে দু’দেশের সীমান্তের মাঝে আজও আটকে রইল ১৬ শিশু-সহ ৩১ জনের রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের দলটি।

গত শুক্রবার ৬ জন পুরুষ, ৯ জন মহিলা ও ১৬ জনের শিশু-সহ দলটিকে আগরতলা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে, ত্রিপুরার রায়েরমুড়া সীমান্তে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজেবি জানায়, ওই দলটি ভারতের দিক থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। তখনই তাদের আটকানো হয়। কিন্তু শুরু থেকেই ওই দাবি মানতে অস্বীকার করে বিএসএফ। তাদের পাল্টা দাবি, মায়ানমারের বাসিন্দা ওই রোহিঙ্গারা আসলে বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।

জটিলতা কাটাতে তিন দিনে একাধিকবার বৈঠকে বসেন দুই বাহিনীর কর্তারা। কিন্তু দলটি শেষ পর্যন্ত কোন দেশে যাবে সেই সমাধান সূত্র আজ রাত পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। গত শুক্রবার থেকেই দলটি দু’দেশের আন্তর্জাতিক সীমানায় আটকে আছে। জিরো লাইন এবং ভারতের দিকে থাকা কাঁটাতারের বেড়ার মাঝে যে ১৫০ মিটারের ভারতীয় এলাকা, সেখানেই তারা আপাতত রয়েছে। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, মানবিকতার খাতিরে ওই দলটির জন্য খাবার, ওষুধ, ত্রিপল ও গরম কাপড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দু’দেশের বৈঠকে বিজিবি দাবি করে, ওই রোহিঙ্গার দলটি আসলে জম্মু-কাশ্মীরে বসবাস করছিল। তাদের কাছে সেখানকার পরিচয়পত্রও পাওয়া গিয়েছে। বিজিবি-র দাবি, ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ওই রোহিঙ্গাদের পুশ ব্যাক করে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছিল। সেই সময়ে বিষয়টি তাদের নজরে আসে। তারা তাদের ‘অনুপ্রবেশ’ আটকায়। তবে বিজিবি-র দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিএসএফ। ত্রিপুরায় যে জায়গায় ওই দলটি ধরা পড়েছে সেখানে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। বিএসএফের এক কর্তার কথায়, ‘‘ভারতের দিকে যে তারের বেড়া রয়েছে তা সম্পূর্ণ অক্ষত। এরা ভারত থেকে বাংলাদেশের দিকে গেলে ওই বেড়া অক্ষত থাকত না। বেড়া কাটতে হত দলটিকে।’’ বিএসএফ জানিয়েছে, নিজেদের দাবির পক্ষে অক্ষত কাঁটাতারের বেড়া বিজিবি কর্তাদের এসে দেখে যাওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে, আজ রাতে অসম-ত্রিপুরা সীমার চুরাইবাড়িতে ৩০ জন রোহিঙ্গার একটি দলকে অসম পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আগরতলা থেকে রাতের বাসে তাঁরা গুয়াহাটি রওনা হয়েছিল। রুটিন তল্লাশির সময় পুলিশের সন্দেহ হলে বাস থেকে নামিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে তাঁরা রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেছেন বলে পুলিশের দাবি। ধৃতদের মধ্যে ১২টি শিশুও রয়েছে। বাকি ৯ জন পুরুষ ও ৯ জন মহিলা। তবে গুয়াহাটিই তাঁদের গন্তব্য, নাকি সেখান থেকে অন্যত্র যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল, তা এখনই স্পষ্ট নয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Border Rohingya
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE