—প্রতীকী ছবি।
ভোটের রাতে বিরোধী দলের সমর্থক এক গৃহবধূ (৪০)-কে গণধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশের নোয়াখালির এক আওয়ামি লিগ নেতা-সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভয়ঙ্কর এই ঘটনার খবর সামনে আসার পরে রুহুল আমিন নামে স্থানীয় এই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামি লিগ। দল না-দেখে এই ঘটনায় যুক্ত সকলকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ভাবী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুলিশের কাছে নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন, ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন শাসক দলের নেতা রুহুল আমিন ও তার দলবল তাঁকে তাদের প্রতীকে ভোট দিতে বললে, তিনি প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে বাদানুবাদের পরে ওই নেতা তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এর পর রাতে আমিনের সাঙ্গপাঙ্গরা মহিলার বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করে। তাঁর স্বামী ও চার সন্তানকে ঘরে বেঁধে রেখে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। দুষ্কৃতীরা সকলেই নোয়াখালির সুবর্ণচর এলাকার কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা। মহিলা ও তাঁর স্বামী তাদের সকলের নামই পুলিশকে বলেছেন। তাঁরা দু’জনেই এখন হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ জানিয়েছে, ডাক্তারি পরীক্ষায় গণধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে।
তবে মহিলা রুহুল আমিনের নামে অভিযোগ করলেও পুলিশ এই প্রভাবশালী নেতার নাম প্রথমে অভিযুক্তের তালিকায় রাখেনি। ঘটনার সঙ্গে নির্বাচন ও রাজনীতির যোগ নেই বলেও পুলিশ দাবি করে। কিন্তু এক পুলিশকর্তা হাসপাতালে তাঁকে দেখতে এলে মহিলা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। তার পরে রুহুলের নাম অভিযুক্তের তালিকায় ঢোকানো হয়। শেখ হাসিনার নির্দেশের পরে পুলিশি তদন্তও গতি পায়। শুক্রবারই বিরোধী বিএনপি জানিয়েছে, দলের মহাসচিব ও শরিক দলের নেতারা নোয়াখালি গিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করবেন। বিশিষ্ট লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘‘২০০১-এ বিএনপি ভোটে জেতার পরে এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এ বার আওয়ামি লিগ জেতার পরে এমন একটি ঘটনাই বা কেন ঘটবে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy