Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর ধানমন্ডিতে

বিশাল মঞ্চ, সাত হাজার দর্শক বসার ছাউনি আর গ্যালারি মিলিয়ে উৎসব ভেন্যু প্রস্তত। আয়োজকরা আশাবাদী, গত পাঁচ বছরের ভেন্যু আর্মি স্টেডিয়ামের চেয়েও সফল আয়োজন হবে এ বার।

ঢাকার ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে আয়োজিত হচ্ছে  ‘বেঙ্গল  উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসব’।

ঢাকার ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে আয়োজিত হচ্ছে ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসব’।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:০৬
Share: Save:

উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত আসর ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসব’-এর পর্দা উঠছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। ঢাকার ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে হচ্ছে এ বারের আসর। শুদ্ধ সঙ্গীতের সেরা শিল্পীদের অংশগ্রহণে ষষ্ঠ আসরের সব প্রস্তুতি শেষ করে এনেছেন আয়োজকরা। বিশাল মঞ্চ, সাত হাজার দর্শক বসার ছাউনি আর গ্যালারি মিলিয়ে উৎসব ভেন্যু প্রস্তত। আয়োজকরা আশাবাদী, গত পাঁচ বছরের ভেন্যু আর্মি স্টেডিয়ামের চেয়েও সফল আয়োজন হবে এ বার।

এ বারের আয়োজন পাঁচ রাতের। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ১৫০ জন শিল্পী অংশ নেবেন এই উৎসবে। প্রথম সন্ধ্যাতেই বেহালার সম্রাট ড. এল সুব্রামনিয়াম সুরের রেশ ছড়াবেন আস্তানা সিম্ফনি ফিলহারমনিক অর্কেস্ট্রার সঙ্গে। তিনি একমাত্র শিল্পী, যিনি দক্ষিণ ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, পশ্চিমা ধ্রুপদি সঙ্গীত বাজিয়ে চলেছেন। রেকর্ডিং করেছেন ইয়েহুদি মেনুহিন, স্টেফান গ্রাপ্পেল্লি, স্টিভ ওয়ান্ডার, জঁ পিয়ের, রামপাল-সহ বিশ্ব উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের তাবড় তাবড় তারকার সঙ্গে। তাঁর বেহালার সঙ্গে এ বারই প্রথম আসছে পুরোদস্তুর এই অর্কেস্ট্রা।

১৩০ বাই ৫০ ফুটের বিশাল মঞ্চে প্রথম রাতে দর্শক আরও বিমোহিত হবেন রাজরূপা চৌধুরীর সরোদে, বিদুষী পদ্মা তালওয়াকারের খেয়াল, ফিরোজ খানের সেতার, সুপ্রিয়া দাস ও বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয়ের যুগল খেয়াল, রাকেশ চৌরাসিয়ার বাঁশি এবং পূর্বায়ন চট্টোপাধ্যায়ের সেতারের আবেশে।

এবারে নতুন ভেন্যু নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে হাজির হবে, বলছেন আয়োজকরা। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ব্লুজ কমিউনিকেশনস-এর প্রধান ফরহাদুল ইসলাম বলেন, “এ বারের উৎসব আরও গোছানো। গত বছরের চেয়ে বসার স্থান দ্বিগুণ করা হয়েছে। পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা চারগুণ বাড়ানো হয়েছে।”

আবাসিক এলাকা ধানমন্ডি। আয়োজকরা সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ভেন্যু পরিকল্পনা করেছেন। দুই স্তরের দেয়াল তৈরি করা হয়েছে। শব্দদূষণ যেন না ঘটে তার জন্য সুদূর জার্মানি থেকে সাউন্ড সফটওয়্যার নিয়ে আসা হয়েছে। বরারের মতোই থাকছে বিশাল পরিসরের ফুড কোর্ট। তিনটি প্রাথমিক প্রবেশ পথে সারি ধরে প্রবেশ করার জন্য থাকবে আরও ১২টি পথ। সব মিলিয়ে স্বস্তিদায়ক উৎসবের জন্য প্রস্তুত ধানমন্ডি।

—নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE