রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশের কক্সবাজারের কাছেই নয়া শিবির গড়তে উদ্যোগী হয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। কিন্তু একই এলাকায় পাশাপাশি শিবির গ়ড়লে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। মায়ানমার সেনার দমননীতির ফলে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৫ লক্ষ রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের কাছে কোতুপালং এলাকায় তাঁদের জন্য শরণার্থী শিবির খুলেছে বাংলাদেশ সরকার। শরণার্থীর সংখ্যা বাড়ায় ওই শিবিরের পাশেই তিন হাজার একর জমিতে নয়া শিবির গড়তে চেয়েছে তারা। এই কাজে শেখ হাসিনা সরকারকে সাহায্য করছে রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা। কিন্তু ঢাকায় রাষ্ট্রপুঞ্জের অন্যতম কর্তা রবার্ট ওয়াকিনসের মতে, পাশাপাশি বড় শিবির খুললে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়বে। শিবির গড়তে বাংলাদেশ সরকারের নতুন জায়গা খোঁজা উচিত।
বাংলাদেশ সরকারের পাল্টা দাবি, রোহিঙ্গাদের জঙ্গি যোগ নিয়েও সতর্ক থাকতে হচ্ছে তাদের। শিবিরেও জঙ্গিরা এসে শরণার্থীদের তাদের সংগঠনে নিয়োগ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে গোয়েন্দাদের। একই এলাকায় শিবির হলে নজরদারিতে সুবিধে হবে। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় যোগ দেওয়ার পরে আজ দেশে ফেরেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যত দিন না দেশে ফিরতে পারছেন তত দিন বাংলাদেশ তাঁদের পাশে থাকবে।’’ এই বিষয়ে ঢাকাকে সাহায্য করার জন্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলিকে ধন্যবাদ দেন হাসিনা। এরই মধ্যে রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠন আরসা জানিয়েছে, তাদের একতরফা সংঘর্ষবিরতির মেয়াদ আর দু’দিন। তবে মায়ানমার সরকার শান্তি আলোচনায় আগ্রহী হলে তারাও কথা বলতে রাজি। ২৫ অগস্ট মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে পুলিশ পোস্টের উপরে আরসার হামলায় সাম্প্রতিক সঙ্কট আরও গভীর হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy