Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
journalist

বাংলাদেশে মহিলা সাংবাদিককে কুপিয়ে খুন

সুবর্ণা দরজা খুলতেই তাঁকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা

সুবর্ণা আক্তার নদী।

সুবর্ণা আক্তার নদী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৮ ১৪:৪৩
Share: Save:

খুন হয়ে গেলেন একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের পাবনার প্রতিনিধি সুবর্ণা আক্তার নদী। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ পাবনা শহরের রাধানগর মজুমদারপাড়া এলাকায় তাঁর ভাড়াবাড়ির সামনেই খুন হয়েছেন তিনি।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজানে জানিয়েছেন, “কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বাড়ির কলিং বেল বাজায়। তার পর সুবর্ণা দরজা খুলতেই তাঁকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।” গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সুবর্ণাকে। কিন্তু, সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ওই সাংবাদিকের খুনের ঘটনায় সন্দেহের তির তাঁর প্রাক্তন স্বামী রাজীব হোসেন ও শ্বশুর আবুল হোসেনের দিকে। কারণ সুবর্ণার মায়ের দাবি, হাসপাতালে যাওয়ার পথে মেয়ে তাঁকে বলেছেন, ‘‘রাজীব ও তার সহকারী মিলন-সহ কয়েক জন আমাকে কুপিয়েছে।’’ সুবর্ণার মা মর্জিনা বেগম বলেন, ‘‘আহত মেয়েকে নিয়ে আমি হাসপাতালে যাই। হাসপাতালে যাওয়ার পথে সে আমাকে হামলাকারীদের নাম বলে। মেয়ে তাদের চিনতে পেরেছে। আমি ওদের ফাঁসি চাই।’’

আরও পড়ুন: বোমা ‘মেরে’ স্বস্তি জার্মানিতে

পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর স্বামী রাজীবের বিরুদ্ধে সুবর্ণা একটি যৌতুকের মামলা করেছিলেন। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন। ওই দিন সুবর্ণার বড় বোন চম্পা বেগম সাক্ষী দিয়েছেন। সাক্ষ্য দেওয়ার পর রাজীবের সঙ্গে তাঁর আদালত চত্বরেই বেশ বাকবিতণ্ডা হয়। আদালত থেকেই সুবর্ণা অফিস চলে যান। সেখানকার কাজ শেষ করে বাড়ি যাওয়ার পরেই ওই ঘটনা ঘটে। সুবর্ণাকে উদ্ধার করে তাঁর মা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: মুজিবকে নিয়ে ছবি বেনেগালের

সুবর্ণার বড় বোন চম্পা বেগম বলেছেন, “মঙ্গলবার সকালে আমার বোনের যৌতুক মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ছিল। আমার সাক্ষ্য আসামির বিপক্ষে যাওয়ায় রাজীব ও তার সহযোগীরা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। আদালত চত্বরেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমরা তখন সেখান থেকে চলে আসি।”

রাতেই সুবর্ণার শ্বশুর আবুল হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম বিশ্বাস জানিয়েছেন, “আমরা সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এখনও পর্যন্ত কোনও মামলা হয়নি। সাংবাদিকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE