Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Education

স্বপ্নপূরণের একটাই ঠিকানা — কিংস্টন এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট

বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২০ ২৩:৪৮
Share: Save:

প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীরই কিছু না কিছু স্বপ্ন থাকে। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যেই একের পর এক মাইলফলক পার করে এগিয়ে যায় তারা। কখনও কঠিন বা কখনও সহজ। শিক্ষার্থীদের সেই স্বপ্নকে সফল করতে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তৈরি করতে সর্বদাই এগিয়ে এসেছে কিংস্টন এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট। উত্তর ২৪ পরগণার বারাসতে অবস্থিত এডুকেশনাল হাবে অবস্থিত KEI-Group-এর ক্যাম্পাসেই অনেকগুলি বিভাগ রয়েছে। সবুজ ঘাসে মোড়া, দূষণ মুক্ত ৩০ একর জুড়ে অবস্থিত KEI-Group-এ এই ক্যাম্পাস যে কোনও শিক্ষার্থীর মন জুড়িয়ে দেবে।

২০০৪ সালে স্বর্গীয় উৎপল ভট্টাচার্য্য এবং শ্রীমতি উমা ভট্টাচার্য্যের হাত ধরে শুরু হয় কিংস্টনের পথ চলা।

বর্তমানে তাদের সুযোগ্য পুত্র শ্রী তিপম ভট্টাচার্য্য সভাপতি ও শ্রীমতি উমা ভট্টাচার্য্য, সম্পাদিকা।

কিংস্টন এডুকেশনাল ইনস্টিটিউটের অন্তর্গত বেশ কয়েকটি কলেজ রয়েছে। যেগুলি হল, কিংস্টন ল' কলেজ, কিংস্টন পলিটেকনিক কলেজ, কিংস্টন স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট এন্ড সায়েন্স, কিংস্টন টিচারর্স ট্রেনিং কলেজ, কিংস্টন কলেজ অব সায়েন্স, কিংস্টন মডেল স্কুল। ক্যাম্পাসটিকে ভার্চুয়ালি দেখতে এবং ইনস্টিটিউটগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন - www.keical.edu.in এই ওয়েবসাইটে।

এই ইনস্টিটিউট ও ম্যানেজমেন্টের মূল লক্ষ্য হল কোনও শিক্ষার্থীকে ভালো কোনও চাকরি দেওয়া এবং বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামের মাধ্যমে সেই শিক্ষার্থীকে উপযুক্ত করে তোলা। বিভিন্ন কার্যসূচী (Hands on Project), অ্যাসাইনমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মানের চাকরির প্রশিক্ষণ, ইন্টার্নশিপ ইত্যাদির মাধ্যমে কোনও শিক্ষার্থীর থেকে তার সেরাটা বের করে আনা হয়, যার ফলে প্রতি বছরই এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা পাশ করার পরে ভাল কোনও সংস্থায় ইন্টার্নশিপ করে এবং চাকরিতে যোগ দেয়। এখানকার পরিকাঠামোও বেশ উন্নত। বর্তমান প্রজন্মের কথা ভেবে তৈরী ল্যাবরেটরি, ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি এবং সর্বোপরি বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের চাকরির ক্ষেত্রে সহায়তা করে। যাতে তারা প্রতিটি পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকে। এখানকার শিক্ষক-শিক্ষিকারা দেশ-বিদেশের মধ্যে অন্যতম সেরা এবং তাঁদের ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে বহু অভিজ্ঞতা রয়েছে, যার ফলে কিংস্টনের প্রতিটা বিভাগেই আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় মডেলে পড়াশোনা করাতে পারে। যার ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা আরও ভাল ভাবে চাকরির জন্য তৈরি হতে পারে।

এই লকডাউন ও মহামারির মধ্যেও KEI-Group-এর মূল লক্ষ্য ছিল প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে সঠিক শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া। তাই প্রত্যেকটি বিভাগেই প্রথম থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল ই-লার্নিং-এর মাধ্যমে পড়াশোনা। দেশ-বিদেশ জুড়ে শিক্ষার্থীরা যাতে সমস্যায় না পরে, তাই বিভিন্ন মাধ্যমে পড়াশোনা চলতো। যেমন লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ইউটিউব চ্যানেল, স্লাইড শেয়ার, ব্লগোস্ফেয়ার, হোয়াটসঅ্যাপ, হেল্প লাইন, বিভিন্ন মাল্টি মিডিয়া চ্যানেলের মাধ্যেম। প্রত্যেকদিন প্রোগ্রামগুলি এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল যাতে শিক্ষার্থীরা সেরা পরিষেবাটি পেতে পারে। এমনকী প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সময়ানুবর্তীক উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। কারণ প্রত্যেকেই বুঝতে পেরেছিল বাড়িতে থেকে পড়াশোনার গুরুত্ব। জুম, গুগল ক্লাসরুম ইত্যাদির মারফৎ ক্লাস নেওয়া হতো, কিংস্টনের অ্যাডভাইজর ড. মনিশঙ্কর চক্রবর্তীর কথায়, KEI-Group-এর তরফে এই প্রচেষ্টার মূল কারণ ছিল যাতে কোনও শিক্ষার্থী সমস্যার সম্মুখীন না হয়। আর তার জন্যে এখানকার ম্যানেজমেন্ট সহ প্রত্যেক সদস্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যথাসাধ্য চেষ্টা করে গিয়েছেন।" প্রতিটি ক্লাস একটি দক্ষ দলের দ্বারা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা হত। KEI-Group-এর বর্তমান সভাপতি তিপম ভট্টাচার্যের মতে, "এই সঙ্কটময় পরিস্থিতির মুহূর্তে দাঁড়িয়েও KEI-Group-এর মূল লক্ষ্যই হল দেশের প্রতিটি কোনায় যাতে জ্ঞানের আলো পৌঁছে যায়। যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের দক্ষতায় কোনও খামতি না হয়। আর সেই কারণেই এত দ্রুততার সঙ্গে ই-লার্নিংয়ের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। সঙ্গে প্রফেশনাল অ্যাকাডেমিশিয়ান ও শিক্ষকরা তো রয়েছেনই। প্রত্যেক ছাত্রের চাহিদা অনুযায়ী প্রতি মুহূর্তে তাঁরা সাহায্য করে গিয়েছেন। এর পাশপাশি লকডাউন চলাকালীন বাড়িতে বসে থাকা দেশের সমস্ত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ই-টিউটরিং, ইলেকট্রনিক মেন্টরিং এবং ইলেকট্রনিক কাউন্সেলিংয়েরও বন্দোবস্ত করেছিল কিংস্টন।"

KEI-Group-এর সম্পাদিকা শ্রীমতি উমা ভট্টাচার্য্য জানাচ্ছেন KEI-Group একটি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে একটি প্রতিযোগীতামূলক পরিবেশের তৈরি করেছে যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের আনুষঙ্গিক পাঠক্রমকে আরও পোক্ত করতে পারে। একটি রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমেই যা সম্ভব। পাশাপাশি KEI-Group পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং মেঘালয় সরকারের কাছে অনুরোধ করেছে যাতে এই সমস্ত রাজ্যের দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পড়াশোনায় সাপোর্ট দেওয়া যায়। KEI-Group অ্যাকাডেমিক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. অম্বরনাথ বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, কিংস্টন সর্বদাই সমস্ত ছাত্রী-ছাত্রীদের পাশে ২৪x৭x৩৬৫ রয়েছে কারণ তাঁরা পরবর্তীকালে সমাজ গঠনে ভূমিকা নেবে এবং কোভিড-১৯ এই সফল উদ্দেশ্যকে কোনওভাবেই হারাতে পারবে না।

বলা বাহুল্য, KEI-Group-এর প্রত্যেকটা বিভাগ আশ্বাস দিয়েছে যাতে প্রতিনিয়ত দেশের প্রতিটা কোনার প্রতিটা শিক্ষার্থী সামগ্রিকভাবে উন্নয়ন করতে পারে। কিংস্টনের ইউটিউব ও ফেসবুক চ্যানেলে প্রতিটি ইভেন্টের রেকর্ডেড ভার্সন রয়েছে। সম্প্রতি ২৪ জুলাই ও ২৫ জুলাই একটি দু'দিন ব্যপী ভার্চুয়াল সিম্পোসিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এই ইনস্টিটিউট এমন এক জায়গায় অবস্থিত যেখানে যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত। বাস, ট্রেন, এবং অন্যান্য ট্রান্সপোর্টে যাতায়াতের সুবিধে রয়েছে এখানে। এয়ারপোর্টেরও খুব কাছে এই ইনস্টিটিউট।

কী কী কোর্স অফার করা হয় এখানে —

বিশদে জানতে ক্লিক করুন - www.keical.edu.in

পড়াশুনার পাশাপাশি অন্যান্য আনুষঙ্গিক পাঠক্রমেও বেশি এগিয়ে রয়েছে কিংস্টন। কারণ কোনও শিক্ষার্থীর সামগ্রিক উন্নয়নে পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলাও সমানভাবে জরুরি। প্রবাদপ্রতিম অলিম্পিয়ান নিখিল নন্দীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কিংস্টন নিখিল নন্দী ফুটবল অ্যাকাডেমি জেলা স্তরের বিভিন্ন আন্তঃ স্কুল টুর্নামেন্ট ও আন্তঃ কলেজ টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। পাশাপাশি প্রতি বছর “Kingstoxication” নামে একটি বার্ষিক প্রোগ্রামের আয়োজন করে।

পাশাপাশি KEI-Group সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের স্বার্থেও প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। বছরে দু'বার বস্ত্র বিতরণ করে তারা। এই কোভিড-১৯ এর দুঃসময়ে সেই কার্য থেকে বিরত থাকেনি তারা। সমাজ কল্যানে তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

দেশের শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য KEI-Group প্রতিনিয়ত নিজের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখানকার ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়ার পরিকাঠামো শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে।

তা হলে আর দেরি কেন? শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ার একমাত্র ঠিকানা হোক কিংস্টন এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট।

Apply Now : - https://keical.edu.in/admission-common/

এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন। কিংস্টনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Education
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE