১০ অক্টোবর ২০২৪
Sri Moni Bhaskar

মণিপুর চক্র অবরুদ্ধ থাকলে আমাদের জীবনে কী প্রভাব পড়ে, জানাচ্ছেন শ্রী মণি ভাস্কর

যে শক্তি আমাদের মধ্যে না থাকলে আমাদের আত্মসম্মান এবং আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি পড়ে, আত্মসচেতনতা বোধ গড়ে ওঠে না, সেই শক্তি সঞ্চয়ে সহায়ক হল এই তৃতীয় চক্র অর্থাৎ মণিপুর চক্র

মণিপুর চক্র নিয়ন্ত্রণ করে সূর্য এবং বাড়ির পূর্ব দিক

মণিপুর চক্র নিয়ন্ত্রণ করে সূর্য এবং বাড়ির পূর্ব দিক

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো
শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৩ ১৯:৫৩
Share: Save:

আমাদের শরীরে নাভির প্রায় তিন ইঞ্চি উপরে পিঠের দিকে, মেরুদণ্ডের উপর অবস্থিত সোলার প্লেক্সাস বা মণিপুর চক্র। যে শক্তি আমাদের মধ্যে না থাকলে আমাদের আত্মসম্মান এবং আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি পড়ে, আত্মসচেতনতা বোধ গড়ে ওঠে না, সেই শক্তি সঞ্চয়ে সহায়ক হল এই তৃতীয় চক্র অর্থাৎ মণিপুর চক্র। সূক্ষ্ম শরীরে ১০টি পাপড়ি যুক্ত পদ্মের মতো এই চক্রের রং হলুদ। মণিপুর চক্র নিয়ন্ত্রণ করে সূর্য এবং বাড়ির পূর্ব দিক। জন্মছকে সূর্যের নেতিবাচক প্রভাব বা বাড়ির পূর্বদিকে নোংরা-আবর্জনা, টয়লেট বা অন্যান্য বাস্তুদোষ থাকলে এই চক্র অবরুদ্ধ হয়।

মণিপুর চক্র অবরুদ্ধ থাকলে আমাদের জীবনের উপর যে প্রভাবগুলি পড়ে-

(১) এই চক্র অবরুদ্ধ থাকলে আত্মমর্যাদা বোধ বা আত্মবিশ্বাস বলে কিছু থাকে না।

(২) মান-যশ-খ্যাতি-মর্যাদা তৈরিতে প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয়।

(৩) ইচ্ছাশক্তি খুব দুর্বল হয়। ফলে ইচ্ছাশক্তির সাহায্যে জীবনের কোনও কাজ ঠিক মতো হয় না।

(৪) পরিমিতি বোধ কাজ করে না। জটিল এবং অত্যন্ত খুঁতখুঁতে ব্যক্তিত্ত্ব গঠিত হয় এবং নিজের গণ্ডি ছাড়িয়ে অন্যের বিষয়ে মাথা ঘামায়।

(৫) এই চক্র অবরুদ্ধ থাকলে অন্যের উপর খবরদারির ইচ্ছা হয়। অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তারকারী হন সেই ব্যক্তি।

(৬) সব সময় একটা অনিশ্চিত ভাব কাজ করে। ইতিবাচকভাবে কোনও কাজ করার ইচ্ছা থাকে না।

(৭) সম্মানহানি হতে পারে, বহু যত্নে গড়ে তোলা সুনাম-সম্মান একেবারে ধুলিসাৎ হয়ে যেতে পারে।

(৮) পুরোপুরি অন্যের উপর নির্ভরশীল জীবন হয়ে ওঠে। অনেক সময় অন্যের আশা আকাঙ্ক্ষারও শিকার হতে হয়।

(৯) আত্মকেন্দ্রিক জীবন, প্রবল আত্মাভিমানী। কোনও দায়িত্ববোধ থাকে না। কারও প্রতি মমত্ববোধও কাজ করে না।

সূর্য এবং বাড়ির পূর্ব দিকের পাশাপাশি সোলার প্লেক্সাস চক্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে ১, ৩ এবং ৭ সংখ্যার ভূমিকা অপরিসীম। যাদের সম্পূর্ণ জন্ম তারিখে (ইংরেজি মতে) ১, ৩ এবং ৭ সংখ্যাগুলি থাকে না অথবা ১, ৩, ৭-এর মধ্যে কোনও একটি বা দুটি সংখ্যা একই জন্ম তারিখে দু'বারের বেশি থাকে, সে ক্ষেত্রে মণিপুর চক্রের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। যেমন ১১ মে ১৯৮২ সালে যদি কোনও ব্যক্তির জন্ম হয়, ১১.০৫.১৯৮২ = {(১+১) + (০+৫) + (১+৯+৮+২)} = (২+৫+২০) = ২৭ (২+৭) = ৯ তা হলে লক্ষ্য করে দেখুন তার সম্পূর্ণ জন্ম তারিখে ১ সংখ্যাটি তিন বার রয়েছে, এবং একটিও ৩ বা ৭ নেই। এই তারিখে যে ব্যক্তির জন্ম, তার মণিপুর চক্র অবরুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অন্যদিকে ২৪ জুন ২০০০ সালে যার জন্ম, তার সম্পূর্ণ জন্ম তারিখে ১, ৩ এবং ৭ একটি সংখ্যাও নেই। ২৪.০৬.২০০০ = {(২+৪) + (০+৬) + (২+০+০+০)} = (৬+৬+২) = ১৪ (১+৪) = ৫, এই ব্যক্তির ক্ষেত্রেও মণিপুর চক্র ভারসাম্য হারাতে পারে। এর পাশাপাশি যদি সেই ব্যক্তির বাড়ির পূর্ব দিকে ওভারহেড ট্যাঙ্ক, সেপটিক ট্যাঙ্ক, টয়লেট, নিকাশি নালা, নোংরা-আবর্জনা, ভ্যাট প্রভৃতি দূষণ বা কোনও বাস্তুদোষ থাকে তবে ওই ব্যক্তির মণিপুর চক্র অবরুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা বহু গুণ বেড়ে যায়। যাদের সম্পূর্ণ জন্ম তারিখে দুইয়ের বেশি ৩ (২৩.০৩.১৯৯৩) বা দুইয়ের বেশি ৭ (০৭.০৩.১৯৭৭) থাকে তাদের ক্ষেত্রেও আমি এই একই সমস্যা ঘটতে দেখেছি।

এ বিষয়ে আরও তথ্য পেতে আপনারা ফেসবুকে SRI MONI BHASKAR পেজ এবং ইউটিউবে DREAM DESTINY চ্যানেলটি ফলো করতে পারেন। পাশাপাশি এই সমস্যায় প্রয়োজনে জ্যোতিষীয় এবং বাস্তুগত পরামর্শও নিতে পারেন। অনেক সময় Symbol Meditation-ও (প্রয়োজনে নির্দিষ্ট মুদ্রা সহযোগে) আপনাদের সহায়ক হতে পারে।

Guided Symbol Meditation এবং বাস্তুশাস্ত্র-জ্যোতিষ বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable)

ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Share this article

CLOSE