আর্থিক ফলাফলের দিক থেকে একেবারেই হতাশ করছে চলতি ২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষ। আর তা সত্ত্বেও নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রে ক্ষমতার রাশ হাতে নেওয়ার পর থেকে মোটের উপর চাঙ্গাই রয়েছে শেয়ার বাজার। আর, এটাই কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়েছে অর্থনীতিবিদ ও বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার কর্তাদের। তাঁদের আশঙ্কা, বাজারের এই উত্থানে এখনও ধরা পড়েনি অর্থনীতির সত্যিকারের ছবি। আসন্ন বাজেটে অর্থনীতির হাল ফেরানোর বেশ কিছু প্রস্তাব থাকবে বলে তাঁদের আশা। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাজেটের পর নতুন উদ্যমে বাজার এগিয়ে যেতে পারে, নয়তো থমকে যেতে পারে সূচকের গতি। পাশাপাশি, গ্রিসের সঙ্কট আরও ঘোরালো হয়ে ওঠা এবং তার জেরে ডলারে ইউরোর পতনের প্রভাব ভারতীয় শেয়ার বাজার এড়াতে পারবে না বলেও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
এ পর্যন্ত প্রকাশিত ৩টি ত্রৈমাসিকের প্রতিটিতেই শিল্প সংস্থাগুলির মুনাফা ছিল প্রত্যাশার তুলনায় কম। তার মধ্যে সদ্য প্রকাশিত তৃতীয় ত্রৈমাসিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ফল আবার সবচেয়ে খারাপ। বাজারে শেয়ার মূল্য ১০ কোটি ডলার, বা ৬০০ কোটি টাকার বেশি, এমন ১০০টি সংস্থার নিট আয় সার্বিক ভাবে এই তিন মাসে কমেছে ৬%। অথচ, ২০১৪-র গোড়ার দিক থেকে সূচক যে- ভাবে বাড়ছে, তাতে শিল্পের এই হাল ধরা পড়ছে না বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে কেন্দ্রে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই সেনসেক্স পেরোয় ২৫ হাজারের বাধা। অথচ মোদী দিল্লির মসনদে বসার পর একটি ত্রৈমাসিকেও নজরকাড়া আর্থিক ফল দেখাতে পারেনি শিল্প।
অন্য দিকে, ঋণের বোঝায় সঙ্কটে পড়া গ্রিসের ২৪,০০০ কোটি ইউরোর (প্রায় ১৭ লক্ষ কোটি টাকা) আর্থিক ত্রাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৮ ফেব্রুয়ারি। তা আরও ছ’মাস বাড়ানোর যে-প্রস্তাব ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি সদস্যরা দিয়েছিল, তা ফিরিয়ে দিয়েছে গ্রিস, কারণ ব্যয়-সঙ্কোচ কর্মসূচি থেকে সরে আসতে চায় সে দেশের নয়া সরকার। শুক্রবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত না-বদলালে গ্রিসকে ইউরোপীয় অঞ্চল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হতে পারে, যার প্রভাব পড়বে বাজারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy