স্থির আয় প্রকল্প যদি নিস্তরঙ্গ পুকুর হয়, তবে শেয়ার বাজার উত্তাল সমুদ্র। এখানে অগুনতি ঢেউয়ের পাশাপাশি চলে নিয়মিত জোয়ার-ভাটার খেলা। গত দশ দিনের বাজারের দিকে তাকালে ব্যাপারটি বেশ স্পষ্ট হবে যে-কোনও মানুষের কাছে। একই সপ্তাহে ঘটেছে বড় আকারের পতন এবং ভাল মাপের উত্থান। এই অনিশ্চয়তা আছে বলেই শেয়ার বাজারের এত আকর্ষণ বিশ্ব জুড়ে।
গত বৃহস্পতিবারের আগের পাঁচ দিনে আতঙ্কগ্রস্ত বাজারে সেনসেক্স নামে ১,১২১ অঙ্ক। ২৮ হাজারের পর ভেঙে যায় ২৭ হাজারের বাধাও। এই জায়গা থেকেই আবার শুরু হয় ওঠা। বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় সেনসেক্স ওঠে ৪১৬ পয়েন্ট। পরের দিন আরও ২৪৫ অঙ্ক উঠে সপ্তাহ শেষে সেনসেক্স থিতু হয় ২৭,৩৭২ অঙ্কে। খানিকটা হলেও স্বস্তি ফেরে লগ্নিকারীদের মনে। বিশ্ব বাজারের কোনও কোনও ঘটনায় বাজার মাঝেমধ্যে ঝুঁকে পড়লেও দেশের কিছু আশাপ্রদ ঘটনা সামলে দিচ্ছে সূচককে। এই ধরনের বাজারে ‘পতনে ক্রয় এবং উত্থানে বিক্রয়’ নীতি মেনে চললে ভাল লাভের সম্ভাবনা।
পণ্য-পরিষেবা কর চালুর পথ সুগম করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গত বুধবার এক সংবিধান সংশোধনী বিল অনুমোদন করে। বিলটি শুক্রবার সংসদের চলতি অধিবেশনেই পেশ করা হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে চালু হয়ে যেতে পারে বহু প্রতীক্ষিত পণ্য-পরিষেবা কর বা জিএসটি। আর্থিক সংস্কারের পথে এগিয়ে যাওয়ার এই খবরে কেটে যায় বিষাদের সুর। বাজারে আবার ফিরতে দেখা যায় লগ্নিকারীদের। সপ্তাহের শেষ দু’দিনে সেনসেক্স ওঠে ৭০১ অঙ্ক। হারানো জমির অনেকটাই পুনরুদ্ধার হয় মাত্র দু’দিনে।