প্রতি দু’মাসে ঋণনীতিতে রেপো রেট ফিরে দেখে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ১ অক্টোবর থেকে নতুন বাড়ি, গাড়ি ইত্যাদি ঋণে পরিবর্তিনশীল সুদ (ফ্লোটিং রেট) স্থির করার নতুন পদ্ধতি চালু করতে হবে ব্যাঙ্কগুলিকে। বাছতে হবে রেপো রেট বা অন্য কোনও মাপকাঠি। এ বার এই নির্দেশ নিয়ে ধোঁয়াশা দূর করতে শীর্ষ ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হতে চলেছে স্টেট ব্যাঙ্ক।
চেয়ারম্যান রজনীশ কুমারের দাবি, ওই নির্দেশে দীর্ঘ মেয়াদের গৃহঋণে স্থির সুদের (ফিক্সড রেট) প্রকল্প নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। গ্রাহক চাইলে স্থির ও পরিবর্তনশীল সুদ মিলিয়ে গৃহঋণ প্রকল্প আনা যাবে কি না, সেই ধোঁয়াশা দূর করা জরুরি।
প্রতি দু’মাসে ঋণনীতিতে রেপো রেট ফিরে দেখে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। প্রয়োজনে তা বদলানো হয়। যে সব ঋণ রেপোর সঙ্গে যুক্ত, তাদের সুদও দ্রুত ওঠানামা করবে। কুমারের মতে, অনেক গ্রাহকই এই অবস্থায় স্থির সুদে স্বচ্ছন্দ বোধ করতে পারেন। তাঁদের জন্য প্রথম ক’বছরে স্থির সুদের ও পরে তা বদলে পরিবর্তনশীল করার প্রকল্প আনা যায়। কিন্তু তা আদৌ করা যাবে কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া দরকার।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ
• ১ অক্টোবর থেকে বাড়ি, গাড়ি ইত্যাদি ঋণের সুদকে রেপো রেট বা তৃতীয় কোনও মাপকাঠির সঙ্গে যুক্ত করতে হবে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে।
• এখন এমসিএলআর বা বেস রেটের ভিত্তিতে যে সব ঋণে সুদ স্থির হয়, তা চালু থাকবে (যত দিন না ঋণ শেষ হচ্ছে অথবা তা বদলানো হচ্ছে)।
স্টেট ব্যাঙ্কের যুক্তি
• অনেক গ্রাহকই রেপো রেটের দোলাচলের কথা ভেবে স্থির সুদে (ফিক্সড রেট) ঋণ নিতে আগ্রহী হতে পারেন।
• অথচ শীর্ষ ব্যাঙ্কের নির্দেশে ঋণে স্থির সুদের কী হবে, তা স্পষ্ট বলা নেই। তাই এ বিষয়ে স্বচ্ছতা জরুরি।
তবে ঋণের পুরো মেয়াদে যে স্থির সুদ রাখা সম্ভব নয়, তা-ও জানিয়েছেন কুমার। তাঁর যুক্তি, গৃহঋণ দীর্ঘ মেয়াদি হয়। তাই প্রথম ক’বছরে স্থির সুদে ঋণ দেওয়া গেলেও, প্রায় ৩০ বছর পরে কী অবস্থা থাকবে, তা আঁচ করে ওই সুদে ঋণ দেওয়া ব্যাঙ্কের পক্ষে সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy