পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে বাতাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নতুন নয়। কিন্তু একাধিক কারণে সাফল্য অধরাই রয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় মাসখানেক আগেই কেন্দ্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব উইন্ড এনার্জিকে (এনআইডব্লিউই) ফ্রেজারগঞ্জ ও সাগরে নতুন প্রকল্প গড়ে সমীক্ষা চালানোর দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, এ রাজ্যের সমুদ্র উপকূলে বাতাসের গতিবেগ তুলনামূলক ভাবে কম। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তার গতিবিধিও বোঝা যায় না। সে কারণেই সাফল্যের মুখ দেখছে না বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প।
বেশ কয়েক বছর আগে ফ্রেজারগঞ্জে আটটি এবং সাগরে একটি বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করেছিল পশ্চিমবঙ্গ অপ্রচলিত বিদ্যুৎ উন্নয়ন সংস্থা। সেগুলির উৎপাদন ক্ষমতা ২৫০ কিলোওয়াট করে। কিন্তু সেখানে উইন্ডমিলগুলির উচ্চতা মাত্র ২৫ মিটার। ফলে অনেক সময়ই বাতাসের গতিবেগ ঠিক মতো বোঝা যায় না। হয় না প্রত্যাশিত বিদ্যুৎ উৎপাদন। ইদানিং বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের আর কোনও প্রকল্প গড়ে তোলা হয়নি রাজ্যে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানটিকে দিয়ে অনেকটা বেশি উচ্চতার উইন্ডমিল বসিয়ে সমীক্ষা চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যাতে বাতাসের গতিপ্রকৃতি, গতিবেগ ও শক্তি উৎপাদন ক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়।
সূত্রের খবর, উপকূলে ১০০ মিটার উচ্চতা উইন্ডমিল তৈরি করে সমীক্ষা চালাবে এনআইডব্লিউই। বাতাসের গতিবেগ-সহ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতার মতো বিষয়গুলির খতিয়ে দেখে রাজ্যকে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে দেবে তারা। দু’বছর ধরে চলবে এই সমীক্ষা। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতর বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন প্রকল্প গড়ার পরিকল্পনা করবে। উল্লেখ্য, দাদন পাত্রবারে সরকার ৫০ মেগাওয়াটের একটি প্রকল্প গড়ার পরিকল্পনা করে রেখেছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পরিস্থিতি • রাজ্যে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা ৪৫০ মেগাওয়াট। • রয়েছে ৪ মেগাওয়াটের উৎপাদন কেন্দ্র। • বিদ্যুৎ পাওয়া যায় ২ মেগাওয়াট। সম্ভাবনা • পূর্ব মেদিনীপুরের দাদন পাত্রবারে বাতাসের জোর রয়েছে। • সম্ভাবনা ফ্রেজারগঞ্জ ও সাগরে। • আছে জমি। ১৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন এখনই সম্ভব। রাজ্যের ভাবনা • সমীক্ষা ভিত্তিক রিপোর্ট তৈরি। • এই প্রথম তৈরি হবে ১০০ মিটার উচ্চতার উইন্ডমিল যুক্ত বায়ুশক্তি উৎপাদন কেন্দ্র।
বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল বাধাই হল, এই ধরনের বিদ্যুৎ তৈরির জন্য বাতাসের যে ধরনের গতির প্রয়োজন, এ রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে তা নেই। ফলে কোথায় এবং কী ভাবে আরও বেশি করে বায়ুশক্তি উৎপাদন সম্ভব সে সম্পর্কে একটি সমীক্ষাভিত্তিক রিপোর্ট তৈরি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy