জল্পনা ছিলই। তা সত্যি করে ঋণ ভারে জর্জরিত এয়ারসেল সমাধানসূত্র খুঁজতে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার জন্য মুম্বইয়ে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনালে (এনসিএলটি) আর্জি জানাল। পাশাপাশি, গ্রাহকদের প্রতি তাদের বার্তা, নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে তারা। এই কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য গ্রাহকদের সাহায্য চেয়েছে মালয়েশিয়া ভিত্তিক এই সংস্থা।
বিপুল ধারের বোঝায় ধুঁকতে থাকা দেশের টেলিকম শিল্প জট কাটানোর পথ খুঁজতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। ছোট সংস্থাগুলি হয় ঝাঁপ বন্ধ করছে, নয়তো একাধিক সংস্থা গাঁটছড়া বাঁধার পরিকল্পনা নিচ্ছে। রিলায়্যান্স কমিউনিকশন্সের সঙ্গে এয়ারসেল প্রথমে গাঁটছড়ার পরিকল্পনা নিলেও প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না মেলায় ও গোটা প্রক্রিয়াটিতে দেরির জন্য তা শেষে ভেস্তে যায়।
বুধবার এয়ারসেল জানিয়েছে, নতুন সংস্থার প্রবেশের পরে তীব্র প্রতিযোগিতা, আইনি জটিলতা, বিপুল ধার ও ক্রমশ বেড়ে চলা ক্ষতির জেরে ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ঋণ পুনর্গঠন ও লগ্নির জন্য কোনও পরিকল্পনাই কাজে আসেনি। তাই এয়ারসেল সেলুলার, ডিশনেট ওয়্যারলেস ও এয়ারসেল, এই তিনটি সংস্থার জন্য দেউলিয়া ঘোষণার আর্জি জানানো হয়েছে।
তবে সংস্থা এ কথাও বলেছে, এর অর্থ এই নয় যে, সংস্থা গোটানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। বরং বর্তমান পরিস্থিতিতে সংস্থার সম্পদ রক্ষা ও পরিচালনার জন্য রফাসূত্র খোঁজার এটিই সবচেয়ে ভাল পথ।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেও লাভের মুখ দেখা এয়ারসেল বাজারে মাসুল যুদ্ধ শুরুর পরে ক্রমশ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে। গত মাসে দেশের ছ’টি সার্কেলে পরিষেবা বন্ধ করে দেয় তারা। তাদের মূল সংস্থা ম্যাক্সিসও অর্থ জোগানো থেকে পিছিয়ে আসে। সঙ্কট বাড়তে থাকায় শেষ পর্যন্ত এনসিএলটির দ্বারস্থ হল এয়ারসেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy