রাজনের নাম না করে যার পাল্টা জবাব দিতে রবিবার মাঠে নামলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।—ফাইল চিত্র।
নোটবন্দির মতো হঠকারী সিদ্ধান্তের সঙ্গে তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর সাঁড়াশি আক্রমণই ভারতের অর্থনীতির সর্বনাশ ডেকে এনেছে বলে সম্প্রতি তোপ দেগেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। বলেছেন, এই দুয়ের ধাক্কাতেই গোত্তা খেয়েছে বৃদ্ধি। রাজনের নাম না করে যার পাল্টা জবাব দিতে রবিবার মাঠে নামলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। দাবি করলেন, পণ্য-পরিষেবা কর রূপায়ণ আসলে ‘প্রকাণ্ড’ এক সংস্কার। যার জেরে তাৎক্ষণিক ভাবে ধাক্কা খেয়েছে বৃদ্ধি। তা-ও শুধু দু’টি ত্রৈমাসিকে।
নোটবন্দি নিয়ে রাজনের সমালোচনা প্রসঙ্গে অবশ্য চুপ ছিলেন তিনি। শুধু জিএসটি নিয়ে বলেন, ‘‘মসৃণ ভাবে রূপায়িত হয়েছে এই কর ব্যবস্থা। সীমিত প্রভাব থেকে দ্রুত বেরিয়ে এসেছে অর্থনীতি। তবে সব সময়ই কিছু সমালোচক ও ছিদ্রান্বেষী থাকেন, যাঁরা বলেন এটা (জিএসটি) ভারতের বৃদ্ধির হারকে শ্লথ করেছে।’’
উল্লেখ্য, নোট বাতিলে বৃদ্ধি ধাক্কা খাবে বলে যাঁরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, সম্প্রতি ব্লগে তাঁদের ফের কটাক্ষ করেছিলেন জেটলি। যেন বলতে চেয়েছিলেন, এর পরেও তো বৃদ্ধি ৭ শতাংশের উপরে। যে যুক্তিকে কার্যত পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেন রাজন। স্পষ্ট বলেন, ৭% বৃদ্ধিতে বুক বাজানোর দিন আর নেই। টানা ২৫ বছর ওই হারে বৃদ্ধি অবশ্যই প্রশংসার। কিন্তু এখন ওই হারই ভারতের নতুন ‘হিন্দু রেট অব গ্রোথ’। অর্থাৎ, এই নিরিখে ন্যূনতম লক্ষ্য।
তবে হালে বিভিন্ন বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে কেন্দ্রের বিরোধ তুঙ্গে পৌঁছলেও, অনুৎপাদক সম্পদ প্রসঙ্গে এ দিন জেটলির দাবিতে শোনা গিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্কের সুরই। তিনি বলেন, অনাদায়ি ঋণ কমালেই ছোট ব্যবসা ও এনবিএফসিগুলিকে যথেষ্ট ধার দেওয়া যাবে। নগদ জোগানের সমস্যাও মিটবে তখনই। আর তাঁর এই উক্তিতেই আরবিআই-কেন্দ্রের সম্পর্কে বরফ গলার ইঙ্গিত পাচ্ছেন অনেকে। কারণ, সম্প্রতি শীর্ষ ব্যাঙ্কও ছোট সংস্থা, এনবিএফসি ও বিদ্যুৎ সংস্থাগুলিকে ঋণের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বদলে অনুৎপাদক সম্পদ ছাঁটাইয়ের সওয়াল করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy