তেলের চড়া দরে মাথাচাড়া দিতে পারে মূল্যবৃদ্ধি। মূলত এই আশঙ্কায় সুদ বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু তার ঠেলায় এখন পেট্রল, ডিজেলের দাম এক ঝটকায় কমানো আরও কঠিন হল মোদী সরকারের পক্ষে। মুশকিল হল জনমোহিনী প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো কিংবা ভর্তুকির বাড়তি বোঝা বওয়া। কারণ, হিসেবে সামান্য বেচাল হলেই ঘাটতি লক্ষ্যচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা। ভোটের বছরে যা সুখবর নয় নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর কমায় গত দশ দিন ধরে নামছে পেট্রল, ডিজেলের দাম। কিন্তু তার দর যেখানে পৌঁছেছে, তাতে আমজনতাকে সুরাহা দিতে তা এক ঝটকায় বেশ খানিকটা কমা জরুরি। তার অন্যতম রাস্তা হতে পারত উৎপাদন শুল্ক ছাঁটাই। কিন্তু ঘাটতি মাত্রাছাড়া হতে পারে, এই যুক্তিতে আগে থেকেই তাতে নারাজ কেন্দ্র। তার উপর এখন সুদ বাড়ায় ওই পথে হাঁটা আরও কঠিন হবে তাদের।
কারণ, শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদ বাড়ানোয় কেন্দ্রের সুদের বোঝা বাড়বে। এই বোঝা শিক্ষা খাতে বরাদ্দের প্রায় ১৪ গুণ। স্বাস্থ্য বরাদ্দের অন্তত ৩০ গুণ। খাদ্যে ভর্তুকির প্রায় সাড়ে ৩ গুণ। ফি বছর তার অঙ্ক বাড়ছে লাফিয়ে। তাই শুল্ক ছেঁটে নতুন করে রাজস্ব কমার ঝুঁকি নেওয়া কেন্দ্রের পক্ষে শক্ত।