সময়ে নতুন নিয়ম চালু নিয়ে সংশয়

আগামী শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) ‌থেকেই কেব্‌ল টিভিতে গ্রাহকের পছন্দের চ্যানেল দেখার নতুন নিয়ম ও মাসুল চালু হওয়ার কথা বলেছিল টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। জানিয়েছিল, সময়সীমা আর পিছোবে না। এরই মধ্যে কেব্‌ল টিভি পরিষেবার নতুন নিয়মে চ্যানেলের দামের ভাগের পদ্ধতি নিয়ে ট্রাইয়ের নির্দেশিকার উপর মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। যে পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি তুলে মামলা করেছিলেন স্থানীয় কেব্‌ল অপারেটরদের (এলসিও) একাংশ। বিচারপতি অরিন্দম সিংহ স্থগিতাদেশ দিয়েছেন ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ফলে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, তা হলে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন নিয়ম চালু হবে তো? কারণ, মামলাকারীদের আইনজীবীর দাবি, দামের ভাগের পাশাপাশি নতুন নিয়ম নিয়ে ট্রাইয়ের পুরো নির্দেশিকার উপরেই কার্যকর হবে স্থগিতাদেশ।

ট্রাইয়ের দিল্লি ও কলকাতা দফতরের কর্তারা অবশ্য আদালতের রায়ের কপি না দেখে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।

হাইকোর্টে এই মামলা করেছিলেন ৮০ জন এলসিও। তাঁদের আইনজীবী পিঙ্গল ভট্টাচার্য এ দিন জানান, ২০১৭ সালের ৩ মার্চ ট্রাইয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী চ্যানেলের দামের ৮০% পাবে ব্রডকাস্টার বা চ্যানেল সংস্থাগুলি। বাকি ২০ শতাংশের ৫৫% মাল্টি সিস্টেম অপারেটররা (এমএসও) আর ৪৫% এলসিওরা। এলসিওদের দাবি, এই নিয়মে তাঁদের আয় কমবে। বন্ধ হবে বহু এলসিওর ব্যবসা।

এ দিন বিচারপতি সিংহ ট্রাইয়ের আইনজীবী ঋত্বিক পট্টনায়েকের কাছে জানতে চান, কীসের ভিত্তিতে মাসুল ভাগের ওই নিয়ম? উত্তরে আইনজীবী বলেন, ট্রাইয়ের থেকে জেনে আদালতকে জানাবেন তিনি।

ডিটিএইচ পরিষেবাতেও এই নতুন নিয়ম চালু হওয়ার কথা ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ট্রাইয়ের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ জারি হওয়ায় সংশয় ঘনাল সে ক্ষেত্রেও। যদিও আলাদা করে এ দিন রাত পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কেউ স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি।