এক দিকে শীর্ষ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতার প্রশ্ন। অন্য দিকে বাজারে নগদের জোগান-সহ বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রের চাপ। এই দ্বিমুখী চ্যালেঞ্জের মুখেই শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পর্ষদের বৈঠকে নেতৃত্ব দিতে হবে নতুন গভর্নর শক্তিকান্ত দাসকে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বৃহস্পতিবারই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, শীর্ষ ব্যাঙ্কের সঙ্গে দু’তিনটি বিষয়ে দ্বিমত তৈরি হয়েছিল কেন্দ্রের। আরও এক ধাপ এগিয়ে আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী বলেন, শীর্ষ ব্যাঙ্ক সরকারেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুতরাং সরকারের আর্থিক রূপরেখায় তাকেও সামিল হতে হবে।
এ দিনই মুম্বইয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দাস। সূত্রের খবর, নতুন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ির মতো কয়েকটি বিধি শিথিলের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
কেন্দ্রের সঙ্গে শীর্ষ ব্যাঙ্কের যে টানাপড়েন চলছে, তার ইঙ্গিত প্রথম মিলেছিল ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্যের বিস্ফোরক মন্তব্যে। গত মঙ্গলবার উর্জিত পটেলের ইস্তফাকে ঘিরে কেন্দ্রকে নিশানা করেছে বিরোধী শিবির। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার জেটলি জানান, ঋণ ও নগদ জোগানের মতো কিছু বিষয়ে শীর্ষ ব্যাঙ্কের সঙ্গে তাঁদের দ্বিমত রয়েছে। তবে এতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতা খর্ব হয় না বলেই তাঁর যুক্তি।
তাঁর কথায়, ‘‘আর্থিক পরিস্থিতির সবচেয়ে বড় দায় কেন্দ্রের। স্বশাসিত সংস্থা পরিচালনায় সমস্যা হলে, মাঝে মাঝে সরকারকেও তা চিহ্নিত করতে হয়।’’ এ ব্যাপারে গডকড়ী আরও চাঁছাছোলা। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘অর্থমন্ত্রী দেশের জন্য আর্থিক রূপরেখা ছকলে তা বাস্তবায়িত করা কি শীর্ষ ব্যাঙ্কেরও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy