আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের রাস্তায় সমস্ত গাড়িকে বৈদ্যুতিক করার কথা বলেছিলেন নিতিন গডকড়ী-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় শিল্পমহলে। গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়াম এবং বিভিন্ন সংস্থার কর্তারা জানান, এ ভাবে সময়সীমা চাপিয়ে দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। বর্তমান ব্যবস্থা থেকে কী ভাবে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় এগোনো যায় সে ব্যাপারে স্পষ্ট নীতি প্রয়োজন। এই বিতর্কের বছর খানেক পার হতে চললেও বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে কেন্দ্র ও গাড়ি শিল্পের মতান্তর দূর হল না।
নীতি আয়োগের উদ্যোগে আজ, শুক্রবার থেকে দিল্লিতে গাড়ি শিল্পের আন্তর্জাতিক সম্মেলন (মুভ) শুরু হতে চলেছে। সেখানে বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে কেন্দ্রের ভাবনার কথা জানাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তার আগে বৃহস্পতিবার সিয়ামের বার্ষিক সম্মেলনে সরকারের সঙ্গে গাড়ি শিল্পের ভাবনার ফারাক আরও এক বার স্পষ্ট হয়ে গেল।
গডকড়ী এ দিন জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিক ও বিকল্প জ্বালানির (ইথানল, বায়ো ডিজেল, সিএনজি, মিথানল) গাড়ির জন্য আলাদা পারমিটের প্রয়োজন পড়বে না। ওলা-উব্রের মতো অ্যাপ ক্যাবের কিছু গাড়ি বাধ্যতামূলক ভাবে বৈদ্যুতিক করলে সেই গাড়ির চাহিদাও বাড়বে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রী অনন্ত গীতের আশ্বাস, বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য চার্জিং স্টেশন গড়া হবে। আবার অন্য এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ সচিব অজয় কুমার ভল্লা জানান, কয়েকটি নির্দিষ্ট শহরে ও জাতীয় সড়কে তিন কিলোমিটার অন্তর ওই চার্জিং স্টেশন তৈরি করা হবে।
কিন্তু গাড়ি শিল্পমহলের বক্তব্য, কেন্দ্র যা বলছে তা আদতে বিচ্ছিন্ন কিছু পদক্ষেপ। সিয়ামের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট অভয় ফিরোদিয়া বলেন, ‘‘গাড়ি শিল্পের ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ পরিকল্পনা স্থির করার জন্য প্রয়োজন স্পষ্ট ও দীর্ঘ মেয়াদি নীতি। কিন্তু সরকার তার পরিবর্তে কিছু বিক্ষিপ্ত পদক্ষেপ করার কথা বলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy